পদ্মা সেতু চালুর পর যানবাহনের চাপে পিষ্ট সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল নিয়ে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। এতে টার্মিনালে বাড়বে গাড়ি রাখার জায়গা।
আধুনিক করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ যাত্রী সুবিধা নিশ্চিত করার কথাও বলছে নগর প্রশাসন। মেয়রের আশা, আগামী বছরের মার্চেই নতুন রূপে সাজবে সায়দাবাদ টার্মিনাল।
সিলেট, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চাঁদপুর রুটের বাসগুলো চলে সায়দাবাদ টার্মিনাল থেকে। পদ্মা সেতু চালুর পরই বদলে যায় এই টার্মিনালের চিত্র।
দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী শত শত বাসের ঠিকানা এখন সায়েদাবাদ। এমনিতেই এই টার্মিনালের অবস্থা নাজুক। তার উপর বাড়তি গাড়ির চাপে ভেঙে পড়ে টার্মিনালের শৃংখলা।
এই অবস্থায় টার্মিনালটির আধুনিকায়নে কাজ শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। নতুন পরিকলল্পনা অনুযায়ী আলাদা রুটের বাসের জন্য আলাদা জোনে গাড়িগুলো রাখার ব্যবস্থা হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানান, দীর্ঘ সময় পার্কিংয়ের জন্য থাকছে আলাদা ডিপো। যাত্রীদের বিশ্রাম ও অন্যান্য সব সুযোগ সুবিধাও নিশ্চিত করা হবে।
বুধবার সকালে সায়েদাবাদ টার্মিনাল দেখতে গিয়ে তিনি বলেন, আগামী বছরের মার্চের মধ্যে এই নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, বাস রুট কার্যক্রম রেশনিংয়ের কার্যক্রম শুরু করেছি। একটির যাত্রাপথ শুরু হয়েছে, আরও দুটির কার্যক্রম আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করব।
এসব কার্যক্রম বেগবান করার জন্য সায়দাবাদ বাস টার্মিনালের আধুনিকায়ন নিজ অর্থায়নে শুরু করেছি। ৩০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে এ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।
মেয়র জানান, অনেক পুরানো সায়দাবাদ টার্মিনালের দীর্ঘ দিনেও কোনো সংস্কার করা হয়নি। এখানে জলাবদ্ধতাসহ অবকাঠামো ভঙ্গুর ও খারাপ অবস্থায় ছিল।
এজন্য বাস রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে ঢাকা শহরের গণপরিবহন যেন শৃঙ্খলাবদ্ধ করা যায় সেজন্য আমরা এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। সংস্কার কাজ দ্রুত চলছে।
তাপস বলেন, আমরা এরই মধ্যে আরও দুটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। একটি কাঁচপুরে ও অপরটি কেরানীগঞ্জে।
সে দুটির মধ্যে একটির জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আমরা সে জমির হস্তান্তর চেয়েছি। আরেকটির জমি অধিগ্রহণের জন্য কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।
সায়দাবাদ টার্মিনাল সংস্কারের পাশাপাশি মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার নীচের সড়ক চলাচলের উপযোগী করার কথাও জানান মেয়র।