৩ বছর কারাভোগের পর পাচার হওয়া ৩০ জন বাংলাদেশি নারি-পুরুষ ও শিশুকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে।
ফেরত আসা নারী-পুরুষ ও শিশুদের মধ্যে ১৮ জন যুবতী, ৩ জন শিশু ও ৯ জন যুবক রয়েছে। তাদের বাড়ি খুলনা, নড়াইল, বরিশাল, ও ফুরিদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে।
ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলো- মো. শহীদ (১৪), মিলন আলী (১৪), সাব্বির তালুকদার (১২), ইব্রাহিম শেখ (১৪), বিপ্লব রায় (১৪), মাহফুজা খাতুন (১৫), চুমকি খাতুন (১৪), লাবনী আক্তার (১৬), শায়লা শিকদার (১৫), নীলা খাতুন (১২), উম্মে কুলসুম (১৩), জুমিনী আক্তার (১৫), সায়রা বানু (১৮), কাকলী খাতুন (১৬), আরুফা খাতুন (২০), জেসমিন আক্তার (১৫), দিলারা আক্তার (১৮), জান্নাত আরা আক্তার (০৭), রিয়া আক্তার (১৪), সাদিয়া আক্তার (১৭), মিনারা আক্তার (১৬), রুখসানা আক্তার (০৫), মো. সামি (০৩), মুক্তা আক্তার (১৭), তামান্না আক্তার (১১), হুমায়রা আক্তার (১২), আহম্মেদ আলী (১৩), নূর ইসলাম (১৪), আকাশ অধিকারী (১২) ও প্রকাশ ঘোষ (১৬)।
পুলিশ জানায়, অভাবের কারণে দালালের খপ্পরে পড়ে ৩ বছর আগে অবৈধ পথে ভারতে যান তারা। এরা ভারতের মুম্বাই ও কোলকাতাসহ বিভিন্ন শহরে বাসা বাড়িতে কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশের হাতে আটক আটক হয়। পরে তাদের ৩ বছরের জেল হয়।
সাজার মেয়াদ শেষে সেখান থেকে সংলাপ, লিলুয়া, সুশীলনসহ ১১টি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। পরে সেদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আইনে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসহকারী সচিব মো. আব্দুল ওয়াদুদ ফেরত আসাদের গ্রহণ করে বলেন, ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে যারা এসেছেন তাদেরকে বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা, মহিলা আইনজীবি সমিতি ও জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে ৩টি এনজিও’র মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।