ব্যায়ামাগারে ব্যায়াম করার সময় বাজানো হয় গান। উচ্চশব্দের গানের তালে ব্যায়াম করেন অনেকেই। ব্যতিক্রম নয় দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল ও এর আশপাশের ব্যায়ামাগারগুলো। তবে এখন থেকে এসব জায়গায় ব্যায়াম করার সময় উচ্চশব্দে গান বাজানো যাবে না। করোনার সংক্রমণ এড়াতে এই বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে দেশটির সরকার।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার করোনাকালে সিউল ও এর আশপাশের ব্যায়ামাগারগুলোকে প্রতি মিনিটে ১২০ বিটের বেশি শব্দের গান বাজাতে মানা করে দিয়েছে। একই সঙ্গে এসব ব্যায়ামাগারে ট্রেডমিলের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটারে বেঁধে দেওয়া হয়েছে
নতুন এসব নিয়মের পেছনে ভূমিকা রেখেছে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া। দেশটির সরকার মনে করছে, উচ্চশব্দের গানের তালে ব্যায়াম করলে মানুষ দ্রুত ও বেশি ঘামবে। এর ফলে, নড়াচড়ার সময় সেই ঘাম আশপাশের মানুষের শরীরে ছড়ানোর ঝুঁকি থাকবে। তাই জুম্বা, স্পিন, অ্যারোবিকসের মতো ব্যায়াম করতে হবে তুলনামূলক কম শব্দের গানের তালে।
একই সঙ্গে একজন ব্যক্তি একদিনে সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা ব্যায়ামাগার কিংবা খেলাধুলার অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রে (ইনডোর কমপ্লেক্স) অবস্থান করতে পারবেন বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। বলা হয়েছে, দেশটিতে খেলাধুলার সকল কেন্দ্র রাত দশটার মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে। দশটার পরে কেউ এসব কেন্দ্রে অবস্থান করতে পারবে না।
তবে সরকারি এসব সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ব্যায়ামাগারের মালিকেরা। সিউলে ব্যায়ামাগার পরিচালনা করেন কাং হুইন-কু। তিনি বলেন, ‘করোনা ছড়ানোর পেছনে ধ্রুপদি সংগীত কিংবা বিটিএসের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ নেই। অনেকে ব্যায়াম করার সময় নিজেদের ইয়ারফোন ব্যবহার করে। আপনি কীভাবে তাদের প্লেলিস্ট নিয়ন্ত্রণ করবেন?’
দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। গত রোববার একদিনে দেশটিতে নতুন ১ হাজার ১০০ কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিম বো-কিয়ুম গত শুক্রবার দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া এখন সর্বোচ্চ সংকটময় পরিস্থিতিতে রয়েছে।