বিক্ষোভে উত্তাল কানাডা, ব্যাপক ধরপাকড়

কানাডায় ট্রাকচালকদের করোনা বিধিনিষেধবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটয়ায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

জরুরি অবস্থা উপেক্ষা করে আন্দোলনে নামলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় তাদের। এসময় ব্যাপক ধরপাকড় চালায় পুলিশ।

এখন পর্যন্ত শতাধিক আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়েছে। এদিকে সাধারণ মানুষ ট্রাকচালকদের বিক্ষোভে সংহতি জানানোয় ধীরে ধীরে তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিচ্ছে।

কনকনে ঠান্ডা, সেইসঙ্গে তুষারপাত। তবু থেমে নেই বিক্ষোভ। বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে তৃতীয় সপ্তাহের মতো অব্যাহত রয়েছে ট্রাকচালকদের করোনার টিকা ও বিধিনিষেধবিরোধী বিক্ষোভ। কানাডার পার্লামেন্ট ভবনের সামনে এবং প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অফিসের সামনের রাস্তা অবোরোধ করে বিক্ষোভে অংশ নেন তারা।

এসময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। আন্দোলনকারীরা পুলিশের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই নেতাসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।

পুলিশ বলছে, অটোয়া একটি শান্তিপূর্ণ শহর। আমরা এ নিয়ে গর্ব করি। শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ না করে এভাবে রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়ায় সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছে। আমরা এ সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি। যেন দ্রুত শহরটি আগের অবস্থানে ফিরে আসে।

বিক্ষোভে সহিংসতা এড়াতে নানা হুমকি-ধমকিতেও কাজ হচ্ছে না। ফলে ট্রাক চালকদের সরিয়ে নিতে কয়েকশো পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলন রুখতে বৃহস্পতিবার রাতে অটোয়া প্রবেশের বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এছাড়া বিক্ষোভকারীদের আটকাতে অটোয়ায় একশোটিরও বেশি পুলিশ চেকপয়েন্ট বসানো হয়েছে।

এরই মাঝে জরুরি আইন অনুযায়ী বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাসহ জনসমাবেশ নিষেধ করা হয়েছে। প্রথমে এ আন্দোলন ট্রাকচালকদের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলেও ধীরে ধীরে তা সাধারণ মানুষদের মধ্যেও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ফলে টিকা ও বিধিনিষেধবিরোধী আন্দোলনটি ধীরে ধীরে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিচ্ছে।

গেল জানুয়ারি থেকে করোনার বিধিনিষেধ ও টিকার বিরুদ্ধে ‘ফ্রিডম কনভয়’-এর ব্যানারে বিক্ষোভ করে আসছেন কানাডার ট্রাক চালকেরা। এসময় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সীমান্ত বন্ধ করে দিলে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে দেশটি।