আর মাত্র হাতেগোণা কয়েকটা দিন। গুণে বললে, আর ৫ দিন। তারপরই বার্সেলোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এখন পর্যন্ত চুক্তির বিষয়ে মুখ খুলেন নি লিও। তবে ক্লাব বসে নেই। দিন-রাত যোগাযোগ রাখছে তাদের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ফুটবলারের সঙ্গে। তারা আশা করছে, শীঘ্রই নতুন চুক্তিতে সম্মত হবেন ৬ বারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা।
জানা গেছে, বার্সেলোনার সঙ্গে নতুন চুক্তিতে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে মেসির পক্ষ থেকেও। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না এলেও দুইপক্ষ চূড়ান্ত করছে চুক্তির সবকিছু। ২০২৩ সাল পর্যন্ত কাতালানদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা হতে পারে বলে জানাচ্ছে ইউরোপিয়ান গণমাধ্যমগুলো।
গেল মৌসুম শুরুর আগে ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে ফুটবল দুনিয়ায় হৈচৈ ফেলে দেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। আশৈশব যে ক্লাবটিতে খেলেছেন, যেখানে বেড়ে উঠেছেন, কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছেন সেটি ছাড়তে চাওয়ার ব্যাখ্যাও দেন তিনি। জানান, ক্লাবের স্পোর্টিং প্রজেক্ট নেই, ট্রফি জেতার মতো দল নেই।
তবে চুক্তির বেড়াজালে বেঁধে তাকে ধরে রাখতে সক্ষম হয় কাতালানরা। তবে এর প্রভাবে পরবর্তীতে সমর্থকদের তোপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ক্লাব সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তোমিউ। নতুন সভাপতি লাপোর্তা এসেই ঘোষণা দেন, তাদের প্রধান কাজই হবে লিওকে ক্লাবে রেখে দেয়া
এরইমধ্যে ক্লাবে আনা হয়েছে মেসির জাতীয় দলের সতীর্থ ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু সার্জিও অ্যাগুয়েরোকে। দলে ভেড়ানো হয়েছে মেম্ফিস ডিপে, এরিক গার্সিয়া ও এমারসনকে। সবই মেসিকে ক্লাবে থাকতে উদ্ধুদ্ধ করতে। তবে আগামী মৌসুম ক্লাবে থাকছেন কিনা, এখনো স্পষ্ট জানান নি এলএমটেন।
ইউরোপিয়ান গণমাধ্যমগুলো বলছে, ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিতে আসতে রাজি লিও। দুই পক্ষই সম্মত হয়েছে চুক্তির বিষয়ে। শীঘ্রই সমর্থকরা সুখবর পাবেন বলেও জানাচ্ছে গণমাধ্যমগুলো।
ক্লাব সভাপতি ক’দিন আগে বেশ জোরালো গলায় বলেছেন, মেসি থাকছেন। তিনি বলেন, লিও ক্লাবের প্রজেক্টে সন্তুষ্ট। আমরাও খুশি যে, সে এখানে থাকতে চায়।
কোচ রোনাল্ড কোম্যানও আশা প্রকাশ করে ক’দিন আগে বলেন, আমি মনে করি মেসি বার্সেলোনা ছেড়ে কোথাও যাবে না।
এবার মুখ খুলেছেন মেসির দীর্ঘদিনের সতীর্থ ও বার্সা মিডফিল্ডার সার্জিও বুসকেটস। তিনি বলেন, আমি আশা করি আগামী মৌসুমেও আমরা একসঙ্গে খেলবো। দেখা যাক সে চুক্তি রিনিউ করে কিনা!