বাইডেনের ব্যক্তিগত অফিসে ‘ক্ল্যাসিফায়েড’ নথি, বিচার বিভাগের তদন্ত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ব্যক্তিগত অফিসে ‘ক্ল্যাসিফায়েড’ নথির সন্ধান পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন যে অফিস ব্যবহার করতেন তিনি, সেখানেই এসব গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় নথিগুলোর সন্ধান পাওয়া যায় গত নভেম্বরে। হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে খবরটি প্রকাশ করেছে রয়টার্স।

ওয়াশিংটনের প্যান বাইডেন সেন্টারে জো বাইডেনের লিগ্যাল টিম প্রায় ১০টি নথির অস্তিত্ব খুঁজে পায়। এ ব্যাপারে তদন্ত করছে এফবিআই। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ডের উপর নথিগুলো পর্যালোচনার দায়িত্ব বর্তেছে। জো বাইডেনের আইনজীবী জানান, নথিগুলো দেখে শনাক্ত করা গেছে যে, সেগুলো বাইডেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ের। তবে নথিগুলো কী সম্পর্কিত এবং, কেন সেগুলো প্যান বাইডেন সেন্টারে রাখা হয়েছিল তা এখনও অস্পষ্ট।

প্রেসিডেন্টের বিশেষ পরামর্শক রিচার্ড সাবারের বরাত দিয়ে সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, মধ্যবর্তীকালীন নির্বাচনের আগের দিন, গত ২ নভেম্বর, বাইডেনের ব্যক্তিগত আইনজীবী ওয়াশিংটন ডিসির প্যান বাইডেন সেন্টারের অফিস খালি করতে গিয়ে এসব নথি খুঁজে পান। জো বাইডেনে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০২০’র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণার শুরু পর্যন্ত প্যান বাইডেন সেন্টারটি নিয়মিত ব্যবহার করতেন। এসব নথির অস্তিত্ব সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংরক্ষণাগারকে অবহিত করেছে হোয়াইট হাউস। পরের দিন সকালেই জাতীয় সংরক্ষণাগার নথিগুলো সংরক্ষণ করেছে। সাবার আরও জানান, নথিগুলো সন্ধান সম্পর্কে জাতীয় সংরক্ষণাগার এর আগে কখনও জানতে চায়নি। অর্থাৎ, সেগুলো সংরক্ষণাগার থেকে খোয়া যায়নি।

জো বাইডেনের পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্পও এমন দায়ে অভিযুক্ত। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়ার পরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন নথি ফ্লোরিডায় রেখেছিলেন ট্রাম্প, এমন অভিযোগে তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পের সেই ঘটনা সম্পর্কে সিবিএস নিউজে হাজির হয়ে জো বাইডেন বলেছিলেন, কেউ কীভাবে এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়! জো বাইডেনের এই ঘটনায় তাই ট্রাম্পও চুপ করে বসে নেই। নিজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি বলেছেন, জো বাইডেনের অফিসগুলোতে এফবিআই কখন হানা দেবে? হোয়াইট হাউসও কি বাদ থাকবে?