বহুমাত্রিক আয়োজনের আলোঝলমলে স্মৃতি

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর আবার জীবনযাত্রায় ফিরেছে কর্মস্পন্দন। প্রিয়জনের সান্নিধ্য লাভের হার্দিক উষ্ণতা যখন আবার বিকশিত করে তুলেছে সুকুমার অনুভূতিকে, তখন আয়োজিত হতে যাচ্ছে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের আনন্দঘন অনুষ্ঠান।

শুধু সংবাদপত্রের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ না থেকে, প্রথম আলো শুরু থেকেই মানুষের সব সৃজন-মনন-সাংস্কৃতিক উদ্যোগের সঙ্গে সহযোগীর ভূমিকায় অবদান রাখতে চেয়েছে। বিপদ–আপদ, সংকটকালে যত দূর সম্ভব যথাসাধ্য সহায়তা নিয়ে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে সচেষ্ট রয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে তাদের শিক্ষা থেকে উদ্ভাবনী ও উদ্যোগী ভাবনা এবং কর্মে নানাভাবে প্রেরণা দিচ্ছে। প্রথম আলোর গত ২৩ বছরের পথপরিক্রমায় সাংবাদিকতার পাশাপাশি এসব বহুমুখী জনকল্যাণমূলক কাজ সমান গুরুত্বে পরিচালিত হচ্ছে। তাই, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার কোনো বিচ্ছিন্ন আয়োজন নয়, এই বৈচিত্র্যময় কর্মপ্রয়াসেরই একটি উদ্যোগ।

সময়ের উজানে গিয়ে অতীতের দিকে তাকালে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের আলোকোজ্জ্বল মঞ্চকে ঘিরে কত আনন্দময় ঘটনার স্মৃতি, কত প্রিয়মুখের উপস্থিত, আবার কত চেনামুখের জীবনের মঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার বেদনা ঘুরেফিরে আসে। জনপ্রিয় জুটি আফজাল হোসেন-সুবর্ণা মুস্তাফার সঞ্চালনায় ১৯৯৯ সালে প্রথম পর্দা উঠেছিল মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অনুষ্ঠানের। এর পর থেকে সৃজনশীল পরিকল্পনা, আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু, উপস্থাপনার চমৎকারিত্বে এই অনুষ্ঠান ক্রমেই উৎকর্ষে উপভোগ্য হয়ে উঠেছে।

 

মেরিল-প্রথম আলোর পুরস্কারের দ্বিতীয় আসরেও সঞ্চালনা করেন আফজাল-সুবর্ণা জুটি। ‘ইত্যাদি’খ্যাত হানিফ সংকেত, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকসহ অনেক জনপ্রিয় অভিনেতা–অভিনেত্রী এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন। এমনকি জাদুশিল্পী জুয়েল আইচও মঞ্চে সঞ্চালকের ভূমিকায় দর্শকদের চমকিত করেছেন।

image_pdfimage_print