প্রায় তিন বছর আগে নদী, খাল ও ডোবা দখলদারদের তালিকা করা হলেও এখনও তাঁদের উচ্ছেদ করেনি কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন। বিপুল পরিমাণ খাসজমি নিজেদের দখলে নিয়ে প্রভাবশালীরা বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ, এমনকি ভাড়ায়ও খাটাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, পূর্বপুরুষদের আমল থেকেই তাঁরা এসব জমি নিজেদের বলে জানেন; রয়েছে ভোগদখলে। যদিও জেলা প্রশাসন বলছে, চলতি বর্ষা মৌসুমের পরই তালিকা অনুসারে শুরু হবে অভিযান; কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
জেলা প্রশাসনের করা তালিকা অনুসারে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, তাড়াইল, সদর, হোসেনপুর, ভৈরব ও করিমগঞ্জ উপজেলার ব্রহ্মপুত্র, নরসুন্দা, সুতী ও চরতালজাঙ্গা নদীসহ ১৫টি খাল ও ডোবার একশ একরের বেশি সরকারি জমি স্থানীয় শতাধিক প্রভাবশালী দখল করে রেখেছেন। এর মধ্যে সদরের নরসুন্দা নদীর ৯১৮৮ ও ১২১৬০ দাগের বিপুল পরিমাণ খাসজমি ২১ জন প্রভাবশালীর দখলে রয়েছে। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- মহিনন্দ ইউনিয়নের গালিমগাজী গ্রামের শাহেদ মিয়া, গোমেজ আলী, মাইনুল ইসলাম, রমজান আলী, তাহেরউদ্দিন, মোহাম্মদ নাঈম প্রমুখ। তাড়াইলের চরতালজাঙ্গা নদী ও সাচাইল মৌজাধীন সুতী নদীর ১৪১৪ এবং ৪৪১৭ নম্বর দাগে সরকারি জমি দখল করে রেখেছেন চরতালজাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রশিদ ও সাচাইল গ্রামের মেনু মিয়া ও জিলু মিয়া।
হোসেনপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী ও বগারার খালভুক্ত দীপেশ্বর, ঢেকিয়া ও হাজীপুর মৌজার ৮৩০, ১৩০, ৩৫ ও ৩৬ নম্বর দাগের বিপুল পরিমাণ জমিও দখলে নিয়েছেন প্রভাবশালীরা। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- চরবিশ্বনাথপুর গ্রামের তাজউদ্দিন, কফিলউদ্দিন, ঢেকিয়া গ্রামের ফয়জুর রহমান, আবদুল কাদির, মওলানা আবদুল করিম, আবুল কালাম, ছিদ্দিক হোসেন, রাইসুল হাসান কেনেডি, আবদুল কাদির স্বপন, জিনারী গ্রামের হিরা মিয়া, রনু মিয়া, মোন্তাজ আলী, রিপন মিয়া, সিরাজউদ্দিন প্রমুখ।