পোল্যান্ডে পড়া মিসাইল ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষার অংশ

পোল্যান্ড সীমান্তে আঘাত হানা মিসাইলটি ইউক্রেনের আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ বলে মিত্রদের জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর এক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

এর আগে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে পূর্ব দিকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে পোল্যান্ডের প্রজেওডো গ্রামে আঘাত হানে রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রটি। এতে দুইজনের মৃত্যু হয়।

বেলজিয়ামের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লুডিভিন দেডোন্ডার, পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে দুদা এবং ন্যাটো প্রধান জেনস স্টোলটেনবার্গও ধারণা করছেন, ইউক্রেনের আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্বারাই এ হামলা হয়েছে। তবে রাশিয়ার মিসাইল হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিমত তাদের।

এ ঘটনার পর বাইডেন প্রথমে বলেছিলেন, রাশিয়া কর্তৃক এ মিসাইল হামলা করার সম্ভাবনা কম। তেমনটা হলে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ন্যাটোভুক্ত কোনও দেশে সবচেয়ে মারাত্মক হামলার ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে ঠেলে দেবে, এমন উদ্বেগ অনেকটাই কমে যাবে।

এ বিষয়ে বুধবার পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্তে জরুরি বৈঠকে বসার কথা রয়েছে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের।

পোল্যান্ড সীমান্তে এই হামলা যখন ঘটে, তখনই পুরো ইউক্রেনজুড়ে মিসাইল হামলা চালাচ্ছিল রাশিয়া। বেশিরভাগ মিসাইল নিজেদের আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার করে প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ। হামলার শিকার হয়েছে পোল্যান্ড সীমান্তবর্তী ভলিন অঞ্চলও।

পোল্যান্ড সীমান্তে হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা হলেও এ অভিযোগ অস্বীকার করে তারা জানিয়েছে, তাদের কোনও মিসাইল পোল্যান্ড সীমান্তের ৩৫ কিলোমিটারের বেশি কাছে যায়নি। আঘাত হানার স্থানের ছবিতেও ইউক্রেনীয় এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা মিসাইলের ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে।

রাশিয়া পোল্যান্ডে মিসাইল ছুঁড়েছে কিনা সে ব্যাপারে জো বাইডেনের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্যে সেরকম কিছু পাওয়া যায়নি। তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আমি কিছু বলতে চাই না। মিসাইলের গতিপথ দেখে মনে হয়েছে সেগুলো রাশিয়া থেকে ছোঁড়া হয়নি, তবে দেখা যাক’।

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে অন্যান্য পশ্চিমা নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে বাইডেন বলেন, পদক্ষেপ নেয়ার আগে ঘটনার পুরো তদন্ত করবে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোভুক্ত অন্যান্য দেশ।

এদিকে, এ ঘটনা নিয়ে কিছু কিছু দেশ ‘ভিত্তিহীন বিবৃতি’ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ক্রেমলিন। এর সাথে রাশিয়ার কোনও সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ।

image_pdfimage_print