অধিকৃত পশ্চিম তীরে কয়েক ডজন অবৈধ ঘাঁটিকে বৈধতা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরাইলের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বিতর্কিত উগ্র ডানপন্থী নেতা ইতামার বেন-গাভিরের সাথে বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেন তিনি।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) এ বৈঠকে তারা নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার ৬০ দিনের মধ্যে বৈধতা দেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ব্যাপারে একমত হন বলে জানিয়েছে ইসরাইলি গণমাধ্যম।
বেন-গাভিরের জুইশ পাওয়ার পার্টির সাথে বৈঠকের পর নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি এক বিবৃতিতে জানায়, এই দুই নেতা ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ অর্জন করেছেন।
তবে, এ ব্যাপারে দুই দল সম্মত হলেও ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটে এই প্রস্তাব যথেষ্ট সংখ্যক ভোট পাবে কিনা সে ব্যাপারে কোনও নিশ্চয়তা নেই।
যেসব বসতিকে বৈধতা দেয়ার কথা রয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনের নাবলুস ও জেনিন শহরের মধ্যে অবস্থিত হোমেস। ২০০৫ সালে এটি খালি করে দেয়া হয়।
ইসরাইলের অধীনে সব বসতি ও ঘাঁটি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অবৈধ। তবে ঘাঁটিগুলো সরকার নয় বরং বসতি স্থাপনকারী কর্তৃক নির্মিত বলে দাবি করে ইসরাইল শুধুমাত্র সেগুলোকে অবৈধ বলে স্বীকার করে।
তবে বিভিন্ন মনিটরিং ও মানবাধিকার গোষ্ঠীর জরিপে দেখা গেছে, ঘাঁটি নির্মাণে বসতি স্থাপনকারীদের অবকাঠামোগত ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে ইসরাইল সরকার।
এছাড়াও গত কয়েক বছরে বহু ঘাঁটিকে বৈধতা দিয়ে এমন আইন পাস করেছে সরকার, যার ফলে অবৈধ ঘাঁটিকে বৈধতা দেয়া আরও সহজ হয়েছে।
নাবলুসে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিরা বলছেন, অবৈধ ঘাঁটিকে বৈধতা দেয়ার এ পরিকল্পনা উদ্বেগজনক, বিশেষত গত বছর থেকে বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে।
হোমেসকে বৈধতা দিলে তা নাবলুস-জেনিন সড়কে ফিলিস্তিনিদের জন্য ধ্বংসাত্মক হবে বলে আল-জাজিরাকে বলেন স্থানীয় একজন সাংবাদিক। বর্তমানে প্রায় প্রতিদিনই এ সড়কে ফিলিস্তিনের ওপর বসতি স্থাপনকারীদের হামলার ঘটনা ঘটে।