পশ্চিমবঙ্গে সপ্তম দফায় ৩৪ আসনে ভোটগ্রহণ চলছে

ভারতে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। নাজুক হয়ে পড়ছে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা। পশ্চিমবঙ্গেও দৈনিক ১৪ হাজারের বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এরই মধ্যে আজ সোমবার পশ্চিমবঙ্গের ৫ জেলায় ৩৪ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভাগ্য নির্ধারিত হবে তৃণমূল কংগ্রেসের চার মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মলয় ঘটক এবং ফিরহাদ হাকিমের। একই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষ এবং বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল, রুদ্রনীল ঘোষের ভাগ্যও এদিন নির্ধারিত হয়ে যাবে। সিপিএমের ক্ষেত্রে নজর থাকবে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের দিকে।

 

এদিকে গতকাল রবিবার করোনায় আক্রান্ত আরেক প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা আসনের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা গত বৃহস্পতিবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। রবিবার তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এ নিয়ে তিন জন প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এর আগে যে দুজন প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছিল, তাদের আসনে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল। নতুন প্রার্থী দেওয়ার পর ১৬ মে ঐ দুই আসনে ভোটগ্রহণ হবে। তবে খড়দা আসনে গত ২২ এপ্রিল ভোটগ্রহণ হয়ে গেছে। ভারতের নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, কাজল সিনহা যদি জেতেন, তাহলে ঐ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে।

এদিকে, বিজেপির মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ফের করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগেও তিনি একবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিত্সাধীন রয়েছেন আরো তিন প্রার্থী। এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের এক মন্ত্রীও রয়েছেন।

অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদে ভার্চুয়াল সভায় মমতা ব্যানার্জি অভিযোগ করে বলেছেন, দেশ জুড়ে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। চারদিকে অক্সিজেন নেই। হাজার হাজার মানুষ ভুগছেন। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রেডিওতে ‘মন কি বাত’ বলছেন। তার মনের কথা কে শুনবে? শুধু পশ্চিমবঙ্গ দখল করার লক্ষ্যে মোদি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ক্ষতি করলেন। প্রচারণায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে ভালোবাসি। ভালোবেসে বেশি ওষুধ দিতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী?’