নেইমারের সঙ্গে খেলতে চান, এ কথা বেশ কয়েকবারই বলেছেন সের্হিও রামোস। তবে সেই ইচ্ছাগুলো ছিল রিয়াল মাদ্রিদে একসঙ্গে খেলার জন্য। কদিন আগেও রিয়াল মাদ্রিদ তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টেনেছে। এতে অবশ্য একটি লাভ হলো সাবেক রিয়াল অধিনায়কের, নেইমারের সঙ্গে খেলার স্বপ্নটা পূরণ হচ্ছে তাঁর।
গতকালই রিয়ালের সঙ্গে কাগজে-কলমে চুক্তি শেষ হয়েছে রামোসের। আর আজই খবর এল, পিএসজির সঙ্গে চুক্তি করছেন এই ডিফেন্ডার। দুই বছরের জন্য প্যারিসের ক্লাবটির অংশ হবেন রামোস।
রামোস যে পিএসজিতে যেতে পারেন, এমন এক খবর বাতাসে ওড়াউড়ি করছিল বেশ কদিন ধরে। আজ সে খবর পাকা করে দিলেন মোহামেদ বোহাফসি। ফ্রেঞ্চ ফুটবল, বিশেষ করে পিএসজি–সংক্রান্ত যেকোনো খবরের ক্ষেত্রে আরএমসি স্পোর্তের এই সাংবাদিক নির্ভরযোগ্য সূত্র।
আজ কিছুক্ষণ আগে বোহাফসি টুইটে জানিয়েছেন, ‘পিএসজি ও সের্হিও রামোসের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন। রিয়াল কিংবদন্তি দুই বছরের জন্য পিএসজিতে যোগ দিচ্ছেন। খেলোয়াড়ের ভাই (এজেন্ট) এরই মধ্যে প্যারিসে আছেন এবং প্যারিসের ক্লাবের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মেডিকেল হয়ে যাবে।’
ভিন্ন এক টুইটে বোহাফসি আরও জানিয়েছেন, ‘রামোস এরই মধ্যে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। মাদ্রিদ কিংবদন্তি ইংল্যান্ডের আরও কিছু ক্লাবের কাছ থেকে পিএসজির চেয়েও বেশি বেতনের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। তাঁর ভাই আজ প্যারিসে এসেছিলেন সব চূড়ান্ত করার জন্য। দুই বছর প্যারিসে থাকবেন রামোস।’
বারবার এভাবে চুক্তির মেয়াদের কথা উল্লেখ করার পেছনে কারণ আছে। রিয়ালের সঙ্গে ১৬ বছরের সম্পর্ক শেষ হওয়ার পেছনে চুক্তির মেয়াদই মূল ভূমিকা রেখেছিল। ৩৫ বছর বয়সী রামোসকে মাত্র এক বছরের চুক্তি দিতে চেয়েছিল রিয়াল। ওদিকে রামোস চেয়েছিলেন দুই বছরের নিশ্চয়তা। পরে রামোস এক বছরের চুক্তিতে রাজি হলেও রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ পিছু হটেন।
এদিকে ফ্রেঞ্চ বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রামোসকে পাওয়ার জন্য গত জানুয়ারি থেকে চেষ্টা চালাচ্ছিল পিএসজি। চুক্তির মেয়াদ আর ছয় মাস বাকি থাকায় যেকোনো ক্লাবের সঙ্গে এ সময় কথা বলতে বাধা ছিল না রামোসের। কিন্তু রামোস রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি নবায়নেই আগ্রহী ছিলেন।