মিশরের মরুর বুকে উৎপন্ন হচ্ছে বাংলাদেশি সবজি-ফলমূল। নীল নদের পাড়ে জমি লিজ নিয়ে তা করে সফল হচ্ছেন বাংলাদেশি এক উদ্যোক্তা। কায়রোর বড় বড় মল কিংবা বিভিন্ন দূতাবাসের অনুষ্ঠানে এখন সেই সবজির জয়জয়কার। দেশটিতে পতিত এমন বহু জমি লিজ নিয়ে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং করার উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
নীল নদের পাড়ে ছোট্ট দ্বীপ জাজিরাতুল মাদি। সেখানে জমিতে চাষ করছেন তরতাজা পুই থেকে শুরু করে বাংলাদেশি বিভিন্ন সবজি। কচি লাউয়ের ডগায় যে প্রশান্তি কিংবা পাকা পেঁপের সুমিষ্ট স্বাদের প্রেমে মজেছেন মরুর লাখো মানুষ। আর এসবই সম্ভব করেছেন আলমগীর হোসেন।
১৫ বছর আগে ভাগ্য বদলের আশায় ইউরোপ যাচ্ছিলেন আলমগীর। কিন্তু দালালের খপ্পরে মিশরে চলে আসেন তিনি। কিছুদিন গার্মেন্টসে চাকরি, তারপর ৫০০ মিশরীয় পাউন্ড দিয়ে এক কাঠা জমি লিজ নিয়ে লালশাক ও করলা চাষ শুরু করেন। এখন বারো বিঘা জমিতে চলছে আবাদ বছরজুড়ে। সেখানে কাজ করছে বাংলাদেশিসহ মিশরীয় শ্রমিক।
চাষযোগ্য জমির মাত্র ৫ শতাংশতে কৃষিকাজ হয় মিশরে। তাতেই মেটে দেশটির সবজি ও ফলের চাহিদা। অব্যবহৃত বাকি জমি লিজ দিতে চায় মিশর সরকার।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে কেবল নিজের ভাগ্যই বদলাননি আলমগীর, কর্মসংস্থান হয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষের।