বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকার হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানার অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর দায় সরকার এড়াতে পারে না। কারণ, করোনা মোকাবিলায় সরকার একদিকে লকডাউন ঘোষণা করেছে, অন্যদিকে মিল-কলকারখানা চালু রেখেছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে এসে নির্মমভাবে জীবন দিতে হলো খেটে খাওয়া শ্রমিক-কর্মচারীদের।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এত প্রাণহানি ও আহত হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী। নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবার-পরিজনদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার নেই। আমি তাদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।’
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, যদি লকডাউনে মিল–কারখানা বন্ধ থাকত, তাহলে এত নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে জীবন দিতে হতো না। একদিকে লকডাউন নিয়ে সরকারের দ্বৈত নীতি, অন্যদিকে কর্মস্থলে অনিরাপদ পরিবেশ ও উদাসীনতার জন্যই এতগুলো জীবন ঝরে পড়ল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে কলকারখানা, বাসাবাড়ি, হোটেল, রেস্তোরাঁ, মার্কেট, অফিসে একের পর এক অগ্নিকাণ্ড, গ্যাস বিস্ফোরণসহ নানা দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। প্রাণ দিচ্ছে নিরীহ মানুষ। অথচ এসব দুর্ঘটনা রোধে সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। দুর্ঘটনার পর সরকার তদন্ত কমিটি করে বিভিন্ন আশ্বাস দেয়। কিন্তু পরে তা আর আলোর মুখ দেখে না। মর্মান্তিক এসব দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর দায় সরকার এড়াতে পারে না। তিনি এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন এবং হতাহত ব্যক্তিদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক-কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।