ভালোবেসে বিয়ে করেন গুণী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও অভিনয়শিল্পী নুসরাত ইমরোজ তিশা। সেটা ২০১০ সালের জুলাইয়ের কথা। এর প্রায় ১৫ বছর পর এসে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা ফারুকীর মুখে জানা গেল, এই তারকা দম্পতির প্রেমের গভীরতা শুরু হয়েছিল কুমিল্লায়; একটি নাটকের শুটিং করতে গিয়ে।
কুমিল্লায় গতকাল রোববার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান ছিল। বিকেলে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। অনুষ্ঠানে কুমিল্লায় জাতীয় কবির প্রেমের স্মৃতি নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি নিজের প্রেমের প্রসঙ্গেও কথা বলেন।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘কুমিল্লার সঙ্গে আমার গভীর প্রেম। আপনারা জানেন আমি কুমিল্লায় বহুবার শুটিং করতে এসেছি। আমার প্রেম মানে আমি যাকে বিয়ে করেছি পরে, তিশা (নুসরাত ইমরোজ তিশা); আমার প্রেমের গভীরতা শুরু হয় কুমিল্লাতে। “ক্যারাম” নামে একটি প্রোডাকশন করতে এসে। কুমিল্লাতে যে শুধু নজরুলের প্রেমের স্মৃতি আছে তা নয়, নজরুলের ছোট ভাইদেরও প্রেমের স্মৃতি রয়েছে।’ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কুমিল্লায় যখনই শুটিং করতে আসতাম, কোন কোন জায়গায় নজরুলের স্মৃতি রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হতো।’
এবার নজরুলের জন্মবার্ষিকী জাতীয়ভাবে কুমিল্লায় পালিত হচ্ছে। ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান, নজরুলের উত্তরাধিকার’ প্রতিপাদ্যে তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় রয়েছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবারের অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন লেখক ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। সলিমুল্লাহ খান বক্তব্যে জাতীয় কবির বেশ কিছু লেখা উদ্ধৃত করে সেগুলোর ব্যাখ্যা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মো. লতিফুল ইসলাম শিবলী ও জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান। আলোচনা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে নজরুলকে নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এতে গান পরিবেশন করেন বিশিষ্ট নজরুলসংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরাসহ বিশিষ্ট শিল্পীরা।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৬ জুলাই ফারুকী ও তিশা বিয়ে করেন। ইলহাম নুসরাত ফারুকী নামে তাঁদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। কচি খন্দকারের গল্প থেকে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ‘ক্যারাম’ নাটকটি নির্মাণ করেন। এই নাটক দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন অভিনেতা মোশাররফ করিম।