পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসনে নন্দীগ্রামে এগিয়ে গেলেন তৃণমূলপ্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন স্পষ্ট, বিজেপি হারতে চলেছে। আর দলটি কার্যত তৃণমূলের কাছে হার স্বীকার করে নিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯২ আসনের ফলাফল গণনা চলছে এখনো। শুরু হয়েছে সকাল আটটায়। তবে এখন পর্যন্ত আটটি আসনেরই চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ সকাল থেকে ভোটের খবরের বড় আকর্ষণ ছিল নন্দীগ্রাম। সেখানে দীর্ঘ সময় পিছিয়ে ছিলেন মমতা। তবে বেলা দুইটার পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। সর্বশেষ মমতা প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারীর চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন প্রায় ৮ হাজার ভোটে। দলীয় প্রধানের সঙ্গে বিজয়ের পথে রয়েছে তৃণমূল।
ইতিমধ্যে তৃণমূল জয়ের পথে থাকায় বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক ও পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিজেপির পরাজয় মেনে নিয়েছেন।
চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগে কৈলাস সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘জয় হলে সেটা মমতারই জয় হয়েছে।’ তবে তিনি এ কথাও বলেছেন, বাবুল সুপ্রিয় ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পরাজয়কে তিনি মেনে নিতে পারছেন না।
এদিকে মমতার এই বিপুল বিজয়ে উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব মমতাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘বিজেপির ঘৃণার রাজনীতিকে হারালেন মমতা। অভিনন্দন মমতাকে।’
এদিকে এখনো চলছে গণনা। এখন ছয় থেকে সাত রাউন্ডের গণনা শেষ হয়েছে। তবে ২৯২ আসনের মধ্যে সর্বশেষ বেলা দুইটায় এবিপি আনন্দ তাদের সর্বশেষ বুলেটিনে বলেছে, ২০৭ আসনে এগিয়ে আছে তৃণমূল, আর বিজেপি এগিয়ে আছে ৮১টি আসনে। অন্যদিকে, সংযুক্ত মোর্চা এগিয়ে আছে ২টি আসনে। রিপাবলিক বাংলা টিভি বলেছে, তৃণমূল এগিয়ে আছে ১৯১টি আসনে। বিজেপি ৯৩টি আসনে এবং সংযুক্ত মোর্চা এগিয়ে আছে ৩টি আসনে। অন্যদিকে, নন্দীগ্রামে শেষ মুহূর্তে শুভেন্দুকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন মমতা।