ধর্মীয় সহিংসতা ঠেকাতে সারাদেশে ডিসি-ইউএনওর নেতৃত্বে কমিটি

ধর্মীয় সহিংসতা ঠেকাতে দেশের সব জেলা-উপজেলায় ‘সামাজিক সম্প্রীতি কমিটি’ গঠন করেছে সরকার। জেলা পর্যায়ের কমিটিতে সভাপতি রাখা হয়েছে জেলা প্রশাসককে (ডিসি)। ২৩ সদস্যের কমিটিতে সংশ্লিষ্ট জেলার সব সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদের প্রশাসককে উপদেষ্টা রাখা হয়েছে।

আর পুলিশ সুপারকে রাখা হয়েছে সদস্য হিসেবে। জেলার পাশাপাশি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও আলাদা আলাদা সামাজিক সম্প্রীতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলা কমিটির নেতৃত্বে রাখা হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও)।

 

আর ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি ১৪ সদস্যের। এ কমিটির প্রধান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। সদস্য সচিব করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে।

প্রজ্ঞাপনগুলোতে বলা হয়েছে, কমিটির সদস্যরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় সম্প্রীতি সমাবেশ করবেন। ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করতে প্রয়োজনীয় প্রচার কার্যক্রম চালাবেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার রোধে মানুষকে সচেতন করে তুলবেন। মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ সব উপাসনালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কমিটি সহযোগিতা করবে। সব ধর্মীয় উৎসব যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে উদযাপনের পরিবেশ ভালো রাখতে এসব কমিটি কাজ করবে। বিভিন্ন ধর্মের শান্তি ও সৌহার্দ্যের বাণী প্রচারের ব্যবস্থা করবে এসব কমিটি।

সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক হুমায়ূন কবির বলেন, জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনের চিঠি আমি পেয়েছি। এ কমিটির কার্যপরিধিতে যা উল্লেখ আছে, সে অনুযায়ী কাজ করা হবে। তবে কমিটির সদস্যরা এখনও সভা করেননি। শিগগিরই কমিটির প্রথম সভা ডাকা হবে।