কুমিল্লার লাকসামে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের মারধরের শিকার হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার মুদাফ্ফরগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের নাগঝাটিয়া গ্রামের বড়বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যায় পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ওই গৃহবধূর নাম সিমা আক্তার (২০)।
তিনি নাগঝাটিয়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার সোহরাব মিয়ার মেয়ে। সিমার স্বামী অভিযুক্ত রাসেল হোসেন একই গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে। ঘটনার পর থেকে রাসেল লাপাত্তা রয়েছে।
নিহত সিমার মা রশিদা বেগম জানান, রাসেল দুবাই থেকে প্রায় ১২ দিন আগে দেশে আসেন। তিনি ওই দেশে আরেকটি বিয়ে করেছে এমন কথা শোনার পর সিমা রাসেলকে জিজ্ঞেস করলে সে তাকে নির্যাতন শুরু করে। বুধবার সকালেও তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। নির্যাতনের একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে রাসেল ও তার মা সিমাকে মুদাফ্ফরগঞ্জ বাজারের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার সিমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রশিদা বেগম আরো বলেন, আমার মেয়ের সাথে তিন বছর আগে রাসেলের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রাসেলকে এক লাখ এবং দুবাই যাওয়ার জন্য আরো এক লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়।
ঘটনার পর থেকে রাসেলকে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে রাসেলের মা রাবেয়া বেগম জানান, শুনেছি সিমা বিষ খেয়েছে। বেলা ১২টার দিকে রাসেল আমাকে ফোন দিলে আমি স্কুল থেকে এসে দেখি রাবেয়া ছটফট করছে। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিয়ে যাই। তারা সেখানে না রাখায় কুমিল্লা নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা এখন আমার ছেলেকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।
লাকসাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। মেয়েটির গলায় কালো দাগ পাওয়া গেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ছাড়া নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ করলে আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবো।