গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মাতৃত্বজনিত এ অসুস্থতা আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার সমপর্যায়ের। তবে আফ্রিকার আরেকটি দেশ নাইজেরিয়ার চেয়ে বাংলাদেশে পরিস্থিতি ভালো। অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশ নেপালের চেয়ে ফিস্টুলায় ভোগা নারীর হার বাংলাদেশে অনেক বেশি।
বাংলাদেশে মাতৃস্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটেছে। ১৯৯০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বৈশ্বিকভাবে মাতৃমৃত্যু বছরে ২ দশমিক ৩ শতাংশ হারে কমেছে। একই সময়ে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু কমেছে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ হারে।
একটি মাতৃমৃত্যুর সঙ্গে ২০ থেকে ৩০ জন মা তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী মাতৃত্বজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ফিস্টুলা সবচেয়ে বিধ্বংসী অসুস্থতা। ফিস্টুলা নারীকে সবচেয়ে দুর্বল করে দেয়। ফিস্টুলাকে জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রসূতিবিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফিস্টুলার কারণ—বিলম্বিত ও বাধাগ্রস্ত প্রসব। প্রসব বিলম্বিত ও বাধাগ্রস্ত হলে প্রসূতির যোনিপথ, মূত্রনালি ও মলনালির টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে কিছু ক্ষেত্রে যোনিপথের সঙ্গে মূত্রনালি, কিছু ক্ষেত্রে যোনিপথের সঙ্গে মলনালি, আবার কিছু ক্ষেত্রে যোনিপথের সঙ্গে মূত্র ও মলনালি যুক্ত হয়ে যায়। এতে প্রস্রাব ও পায়খানার ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। অসহায়ত্বের মধ্যে পড়েন আক্রান্ত নারী। এ অবস্থায় আক্রান্ত নারী লোকজন এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। ফলে তিনি ধীরে ধীরে অনেকটা একা হয়ে পড়েন।