সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা বলেছেন, দেশের নানা সংকটকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি খেলায় নেমেছে। এই দুই দলের খেলায় দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। রোববার সংসদের ২০তম অধিবেশনের সমাপনী দিনে পয়েন্ট অব অর্ডারে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টির এমপিরা। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ইদানিং রাজনীতিতে নতুন শব্দ যোগ হয়েছে। সবাই বলছে- খেলা হবে। কিসের খেলা হবে? কোথায় খেলা হবে? কার সঙ্গে খেলা হবে? জনগণ কোথায় খেলা দেখতে চায়? এটা বুঝি না। এটা নতুন শব্দ।
তিনি বলেন, নারী নেত্রীরাও বলছেন, খেলবেন, আসেন। খেলা হবে। এই কেমন কথা? নেতারা বলছেন খেলা হবে, দেখিয়ে দেব। রাজনীতিতে এত হালকা কথা বলে, হালকাভাবে রাজনীতিকে নেওয়া উচিত না। রাজনীতি কঠিন বিষয়।
দ্রব্যমূল্য প্রতিদিন লাগামহীন বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ বাঁচতে চায়। আপনাদের এই খেলা দেখতে চাই না। এটা তামাশা, বন্ধ করতে হবে। দুটি দলকে অনুরোধ করব এই ধরনের সস্তা কথা না বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করবে না, আতঙ্কিত করবেন না। রাজনীতির ভাষা আছে। ক্ষমতা থাকলে লড়াই করেন। কিন্তু এই সমস্ত তামাশা করবেন না।
জাতীয় পার্টির আরেক সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে উল্লেখ করে বলেন, এটাকে মোকাবিলা করার জন্য খেলা বাদ দিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ঐক্যমত হয়ে বিপদ মোকাবিলা করতে হবে। তা না করে একটি দল মাঠে, তারা যেকোনো উপায়ে সমাবেশ করছেন। খেলা করবেন, দেখাচ্ছেন। আবার সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, খেলা হবে।
তিনি বলেন, খেলা হোক। তবে আগে জনগণকে বাঁচান। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে সংকটকালীন সময় মোকাবিলা করেন। যে খেলা আরম্ভ করছেন, তাতে আমরা রেফারি হওয়া ছাড়া খেলা বন্ধ হবে না। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি গত ৩২ বছরে বহুত খেলছেন। এইবার খেলা বন্ধ করে আগামী এক বছর যাতে জনগণকে বাঁচাতে পারি, সংকট মোকাবিলায় খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি হয়, মানুষ যাকে কর্ম পায়। সেই বিষয়ে কাজ করি।