নির্বাচন কমিশন অনানুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, সুরমা আসনটিও পেয়েছে বিজেপি।ত্রিপুরা কংগ্রেসের প্রধান নেতা সুদীপ রায় বর্মন আগরতলা আসন ধরে রাখতে পেরেছেন। তিনি কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে গিয়ে এবং আবার কংগ্রেসে ফিরে এসে আসনটি জিতলেন।
এ নিয়ে তিনি টানা ছয়বার আগরতলা আসনে জিতলেন। ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি আসনটিতে জিতে আসছেন। তিন হাজারের সামান্য বেশি ভোটে তিনি হারিয়েছেন বিজেপির অশোক সিংহকে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া-মার্ক্সিস্ট (সিপিআই এম)।
তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় সিপিআইএমের জায়গা নেবে বলে যে আলোচনা চলছিল, তেমনটা একেবারেই হয়নি। তৃণমূল খুবই খারাপ ফল করেছে এবং সব জায়গাতেই তারা চতুর্থ স্থানে রয়েছে। সব আসনেই সিপিআইএমের থেকে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তবে ভারতের অন্যান্য প্রদেশের উপনির্বাচনে বিজেপি বিশেষ ভালো ফল করতে পারেনি। দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ ও ঝাড়খন্ড—প্রতিটি রাজ্যের একটি করে আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন হয়েছিল এবং এই তিনটিতেই হেরেছে বা হারার পথে বিজেপি। দিল্লিতে জিতেছে সেখানকার স্থানীয় আম আদমি পার্টি, অন্ধ্রপ্রদেশে ওয়াই এস আর কংগ্রেস এবং ঝাড়খন্ড কংগ্রেস।
তবে বিজেপি ভালো ফল করেছে উত্তরপ্রদেশে। সেখানকার দুটি লোকসভা আসনে জিতেছে বিজেপি। পাঞ্জাবে এগিয়ে রয়েছে সেখানকার স্থানীয় দল শিরোমনি আকালি দল (মান)।