আসন্ন দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দল মনোনীত একক চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের করা অভিযোগ যাচাই-বাছাই করছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা। গত দুই দিনে তিন ইউপিতে প্রার্থী বদল করা হয়েছে।
গত টানা পাঁচ দিন মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে ছয়টি বিভাগের ইউপি নির্বাচনে নৌকার একক চেয়ারম্যান প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। একক প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকে গত কয়েক দিন ধরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আসছে কেন্দ্রে। ইতিমধ্যে তিন শতাধিক অভিযোগ ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা পড়েছে।
এ ব্যাপারে গতকাল আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ইত্তেফাককে বলেন, তৃণমূলের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করছেন মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে তৃণমূল সংশ্লিষ্টদের। তবে সব অভিযোগের সত্যতা নেই। যারা মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন তাদের অনেকে মিথ্য অভিযোগ কেন্দ্রে জমা দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের নেতারা কেন্দ্রে অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূলের দায়িত্বশীল এক শ্রেণির নেতারা অর্থের বিনিময়ে বিএনপি নেতা, রাজাকারের সন্তান-নাতি, বিতর্কিত বিত্তশালীর নাম গোপনে কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। ত্যাগীদের নাম পাঠাননি। এ কারণে বিতর্কিতরা মনোনয়ন পেয়েছেন।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, খুলনা বিভাগের নড়াইল জেলা সদরের বিছালী ইউনিয়ন পরিষদে প্রার্থী পরিবর্তন করে এস এম আনিসুল ইসলামকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর আগে রবিবার দুই ইউপি মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুরে এবং খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়ায় প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়।
ময়মনসিংহ বিভাগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী যারাময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর জেলা সদরের কেন্দুয়া ইউপিতে শেখ মাহবুবুর রহমান, শরিফপুরে আলম আলী, লক্ষীরচরে আফজাল হোসেন বিদ্যুত, তুলশীরচরে মো. শহিদুল্লাহ, ইটাইলে হাফিজুর রহমান, নরুন্দিতে লুত্ফর রহমান, ঘোড়াধাপে মোহাম্মদ ফজলুল হক, বাঁশচড়ায় মো. আ. জলিল, রানাগাছাতে মো. আবদুল জলিল, শ্রীপুরে আজিজুল হক, শাহবাজপুরে আয়ুব আলী খান, তিতপল্যাতে আজিজুর রহমান, মেষ্টাতে ছানোয়ার হোসেন, দিগপাইতে মিজানুর রহমান ও রশিদপুরে আবদুল্লাহ আল মামুন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।
নেত্রকোনা জেলা সদরের মৌগাতিতে মোস্তাফিজুর রহমান খান, মেদনীতে জিল্লুর রহমান খান নোমান, ঠাকুরাকোনাতে আবদুর রাজ্জাক, সিংহের বাংলাতে আবদুর রহিম, আমতলাতে আবদুর রউফ সবুজ, লক্ষীগঞ্জে আবদুর রব রব্বানী, কাইলাটিতে মজিবুর রহমান, দক্ষিণ বিশিউড়াতে আবু বকর সিদ্দিক, চল্লিশাতে সৈয়দ মাহাবুবউল মজিদ, রৌহাতে আবদুর রশিদ, কালিয়ারা গাবরাগাতিতে আমজাদ হোসেন খান, মদনপুরে মোস্তফা ই কাদের, বারহাট্টা উপজেলার বাউসীতে শামছুল হক, সাহতাতে পল্টন চন্দ্র সরকার, বারহাট্টাতে কাজী সাখাওয়াত হোসেন, আসমাতে শফিকুল ইসলাম খান, চিরামে সাইদুর রহমান চৌধুরী, সিংধাতে শাহ মাহবুব মুর্শেদ কাঞ্চন, রায়পুরে আলী আকবর তালুকদার, আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়াতে আবদুস সাত্তার, শুনইতে রোকনউজ্জামান, লুনেশ্বরে শাহজাহান কবীর, বানিয়াজানতে ফেরদৌস মিয়া, তেলিগাতীতে অখিল চন্দ্র দাস, দুওজে সাইদুল হক তালুকদার এবং সুখারীতে মো. শাহজাহান চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।