তারকাবহুল ঢাকার বিপক্ষে খুলনার জয়

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে তারকাবহুল মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার বিপক্ষে ৫ উইকেটে জয় পেল খুলনা টাইগার্স। ঢাকার ১৮৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ৬ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য অতিক্রম করে মুশফিকুর রহিমের দল।

ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি খুলনার। দলীয় ৮ রানে শুভাগত হোমের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম। এরপর ওয়ানডাউনে খেলতে নামা রনি তালুকদারকে নিয়ে বেধম পিটিয়ে খেলতে থাকেন ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার। মূলত তাদের ব্যাটেই জয়ের ভীত গড়ে ওঠে মুশফিকুর রহিমদের।

ফ্লেচার ও রনি, দুজনে মিলে গড়ে তোলেন ৭২ রানের জুটি। ফ্লেচারকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেনে আন্দ্রে রাসেল। উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ শেহজাদের কাছে ধরা পড়েন তিনি। তার ব্যাট থেকে ২৩ বলে আসে ৪৫ রান।

দলপতি মুশফিক ৬ রানে উইকেট বিলিয়ে দেন এবাদত হোসেনকে। ৬১ রান নিয়ে ঢাকার জন্য ভয়ের কারণ হতে থাকা রনি তালুকদারকেও শিকার করেন এবাদত। মাঝে ইয়াসির আলি সাজঘরে ফেরেন রাসেলের শিকার হয়ে।

এরপর থিসারা পেরেরা ও মেহেদী হাসানের ব্যাটে লক্ষ্য অতিক্রম করে খুলনা। থিসারা ১৮ বলে ৩৬ ও মেহেদী ১২ রান করেন। ঢাকার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন রাসেল ও এবাদত। এক উইকেট পান শুভাগত হোম।

এর আগে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৩ রান করে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। এ ম্যাচ দিয়ে প্রত্যাবর্তন রাঙান দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল খান। দীর্ঘদিন পর স্বীকৃত ক্রিকেটে ফিরে ৪১ বলে অর্ধশতক করেন তিনি। তামিমের আউট হন কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে। তার আগে মোহাম্মদ শেহজাদ ২৭ বলে ৪২ রান করে আউট হন। মোহাম্মদ নাঈম সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ৯ রানে।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে বড় স্কোর গড়ার চেষ্টা করলেও ফিরে যান রাসেল। ৭ রানে রানআউটের শিকার হন তিনি। জহুরুল ইসলাম এসে খেলেন ১২ রানের ইনিংস। এরপর শুভাগত হোমকে নিয়ে বড় স্কোর দাঁড় করায় ঢাকা। রিয়াদ ২০ বলে ৩৯ ও হোম ৫ বলে ১৩ রান করেন। খুলনার হয়ে তিন উইকেট নেন রাব্বি। একটি উইকেট পান থিসারা পেরেরা।