কিন্তু ওই কক্ষে সভাপতি মারিয়াম জামান খানের পক্ষের ঘনিষ্ঠ দুজন অছাত্র থাকেন। তানভীর তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে ওই কক্ষে উঠতে গেলে এ নিয়ে ওই দুই অছাত্রের সঙ্গে তাঁদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।
পরে গতকাল রাত ১১টার দিকে সভাপতির পক্ষের কয়েকজন নেতা-কর্মী ওই কক্ষে গেলে তানভীরের সঙ্গে তাঁদেরও কথা–কাটাকাটি হয়। তানভীর তাঁদের বলেন, তিনি তাঁর বরাদ্দ পাওয়া কক্ষেই থাকতে চান। কিন্তু তাঁরা তানভীরকে অন্য কক্ষে তুলে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির পক্ষের নেতা–কর্মীরা সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকা চার-পাঁচটি কক্ষে তাঁদের কর্মীদের তুলে দেন। এমন পরিস্থিতিতে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা স্টাম্প ও লাঠিসোঁটা হাতে বের হয়ে হলের বিভিন্ন অংশে অবস্থান নেন। এ সময় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের বাগ্বিতণ্ডা, গালিগালাজ ও চিৎকার-চেঁচামেচিতে পুরো হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মারিয়াম ও সাধারণ সম্পাদক সিয়াম হলে এসে নেতা-কর্মীদের শান্ত করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তাঁরা সিদ্ধান্ত দেন, ২৬৯ নম্বর কক্ষে দুই অছাত্রের একজনের সঙ্গে তানভীর থাকবেন।