জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব ম্যাচ জেতা উচিত: সুজন

এ দিকে প্রাথমিক দল থেকে যে স্কোয়াড বাছাই করা হয়েছে, তা নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সুজন। তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে বাছাইকৃতরাই লাল-সবুজের সম্ভাব্য সেরা ক্রিকেটার। আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়েও উচ্চাশা এই বিসিবি পরিচালকের। অতীতের ভুল থেকে বের হতে পারলে সেরা আটে জায়গা করে নেওয়া অসম্ভব নয় বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশের বন্ধ দরজা অনুশীলন শেষ। ১৭ জনের স্কোয়াড ছোট হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। সাকিব-মুস্তাফিজ-সৌম্যর বদলি হিসেবে সুযোগ পাচ্ছেন নতুন তিনজন। যদিও সুযোগ পাওয়া বা বাদ পড়াদের নিয়ে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করেননি বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। তার মতে, যারা আছেন, তারাই এখন সম্ভাব্য সেরা ক্রিকেটার।

প্রতিপক্ষ বিবেচনাতেও এই স্কোয়াড নিয়ে বেশ আশাবাদী সুজন। চট্টগ্রামের কন্ডিশন এবং উইকেটে তিন ম্যাচ শেষেই সিরিজ স্বাগতিকদের ঘরে আসবে বলে বিশ্বাস তার। হোয়াইটওয়াশও অসম্ভব মনে করছেন না সাবেক এই অধিনায়ক।

খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ‘আমরা সৌম্য, সাকিব কিংবা মুস্তাফিজকে প্রথম ম্যাচে মিস করছি। তারপরেও যারা আছে তারা খুব ভালো খেলোয়াড়, সকলেই ফর্মে আছে। আমি আশাবাদী প্রথম তিন ম্যাচেই বাংলাদেশ সিরিজ জিতে যাবে। আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমি বিশ্বাস করি, ৫-০ তে জেতা উচিত যে ফর্মে রয়েছে বাংলাদেশ।’

এই ১৫ জনের স্কোয়াড থেকে তিনজনকে পরিবর্তন করে দেয়া হবে বিশ্বকাপের মূল দল। ঢুকবেন সাকিব-মোস্তাফিজ এবং সৌম্য। টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসরেও তাই বাংলাদেশের ভালো সুযোগ দেখছেন সাবেক এই টিম ডিরেক্টর। যদিও তার জন্য দিয়েছেন পূর্ব শর্ত।

সুজন বলেছেন, ‘দেখতে হবে মাঠে আপনি কতটুকু কাজ করতে পারছেন, নিজেকে কতটুকু মেলে ধরতে পারছেন। আপনার পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলোয়াড়রা খেলছে কিনা, কিংবা আপনার পরিকল্পনা কাজ করছে কিনা, সবকিছুর ওপরে নির্ভর করে। তবে আমি মনে করি, এখানে উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের গ্রুপ থেকে আমাদের কোয়ালিফাই করার সম্ভাবনা খুবই বেশি। আমরা বড় কোনো ভুল না করলে ৮০-৮৫ শতাংশ সুযোগ রয়েছে।’
 

এ দিকে আবারো শুরু হয়েছে পুরানো আলোচনা, কে হবেন টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর। যদিও সাবেক টিম ডিরেক্টরের সোজা কথা, এ পদটার কোনো প্রয়োজনই নেই বাংলার ক্রিকেটে।