জাপোরিঝিয়ায় নতুন করে শুরু হলো রুশ অভিযান, নিহত ৩

ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়ায় নতুন করে অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া। বুধবার (১ মার্চ) রাতভর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় শহরটির বিভিন্ন আবাসিক এলাকায়। এ হামলায় প্রাণ গেছে অন্তত ৩ জনের। এ অবস্থায় ইউরোপীয় নেতারা বলছেন, যুদ্ধ বন্ধের একমাত্র চাবিকাঠি রয়েছে রাশিয়ার হাতে। মস্কো, সেনা প্রত্যাহার করলেই বন্ধ হয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

জাপোরিঝিয়াকে লক্ষ্য করে বুধবার রাতভর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকা। ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় ২ জনের। একই চিত্র খোরতিতসিয়া, তাভ্রিয়া ও ওডেসাতেও। বাখমুতে লড়াই কিছুটা স্তিমিত হয়ে আসলেও সংঘাতের মাত্রা বেড়েছে অন্যান্য এলাকাগুলোতে। এ অবস্থায় শীতকালীন প্রতিরোধ যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। জানান, নতুন করে নেয়া হচ্ছে যুদ্ধের পরিকল্পনা।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, এবারের শীত আমাদের জন্য খুবই কঠিন ছিলো। রুশ বাহিনীর অন্যতম লক্ষ্যে পরিণত হয় ইউক্রেনের বিদ্যুত ও জ্বালানী কেন্দ্রগুলো। পুরো ইউক্রেন অন্ধকারে ডুবে যায়। তবে আমরা হাল ছাড়িনি। যতোদ্রুত সম্ভব এসব কেন্দ্র সংস্কারের চেষ্টা চালিয়েছি। শীতের সুযোগে রুশ বাহিনী নতুন নতুন এলাকায় অভিযান চালালেও আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। সব মিলিয়ে সাফল্যের সাথেই শেষ হয়েছে আমাদের শীতকালীন অভিযান।

এ অবস্থায় ইউরোপীয় নেতারা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের একমাত্র চাবিকাঠি রয়েছে মস্কোর হাতে। রাশিয়া সেনা প্রত্যাহার করলেই শেষ হবে যুদ্ধ।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শ্যুলৎজ বলেন, ইউক্রেন সংঘাতের জন্য রাশিয়া দায়ী। মস্কোই সেখানে আগে যুদ্ধ শুরু করেছে। শান্তির চাবিকাঠিও রাশিয়ার হাতেই রয়েছে। আর সেটি হলো ইউক্রেন থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করা। তাই যতোক্ষণ না রুশ সেনা সরছে ইউক্রেন থেকে ততোক্ষণ পর্যন্ত শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।

এদিকে, আকস্মিক চীন সফরে গেছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। বৈঠক করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ, হংকং-তাইওয়ানসহ নানা ইস্যুতে আলোচনা করেন দুই নেতা। বৈঠকে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চীনের ১২ দফা প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানায় বেলারুশ।

এ প্রসঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, বেলারুশকে সামরিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সহায়তা দেয়া অব্যাহত রাখবে চীন। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য মিনস্ক ও বেইজিংয়ের মধ্যকার এ সুসম্পর্কের প্রয়োজন আছে।