ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের ৩২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রদলের করা মামলা শাহবাগ থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিক এ আদেশ দেন।
এর আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি তিলোত্তমা শিকদারসহ ৩২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা করা হয়।
দোয়েল চত্বরে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় আদালতে এ মামলার আবেদন করেন ঢাবির আইন অনুষদের শিক্ষার্থী মানসুরা আলম। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে শাহবাগ থানার ওসিকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৬ মে ছাত্রদলের পূর্ব ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা দোয়েল চত্বর থেকে মিছিল বের করে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, বিভিন্ন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের মিছিলে অতর্কিত হামলা করে। একপর্যায়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে আশ্রয় নিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম খান সংবাদমাধ্যমকে মামলার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন, ছাত্রলীগের সহ- সম্পাদক রাশেদ ফেরদৌস আকাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খাদিজা আক্তার উর্মি, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সামাদ আজাদ জুলফিকার, ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক শামীম পারভেজ ও গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ হেল বারী।
এছাড়াও, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. নাজির, উপ-আপ্যায়ন সম্পাদক শাহীন তালুকদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক খান মো. শিমুল, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক সাদ্দাম হোসেইন, ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা অভিজ্ঞান দাস অন্ত, একুশে হল শাখার নেতা এনায়েত এইচ মনন, একই হলের এমদাদুল হাসান সোহাগ ও রাকিব হোসেন, বিজয় একাত্তর হল শাখার নেতা মজিবুল বাশার। সলিমুল্লাহ হল শাখার নেতা নাজিমুদ্দিন সাইমুন, চুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা সৈয়দ ইমাম বাকের, ছাত্রলীগকর্মী মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহিদুল্লাহ হল শাখার নেতা শরিফ আহমেদ, এফ রহমান হল শাখার কর্মী আব্দুর রাহিম, শহিদুল্লাহ হলের মুনিম শাহরিয়ার, সূর্যসেন হলের নাহিদ সাদী, জগন্নাথ হলের ঐশিক শুভ ও সৌরভ চক্রবর্তী, এসএম হলের সায়েম, এফ রহমান হলের রিয়াজ, মুজিব হলের মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক নেতা সাজ্জাদ, মিজানুর রহমান পিকুল এবং আব্দুল্লাহ আল ফারিয়াল।
এ মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ২৬ মে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পূর্ব ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা দোয়েল চত্বর থেকে মিছিল বের করে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ, বিভিন্ন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের মিছিলে অতর্কিত হামলা শুরু করে। একপর্যায়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢাবির আশপাশে আশ্রয় নিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেন।
এ হামলায় ঢাবির ছাত্রী মানসুরা আলম, ঢাবির ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, ঢাবির জিয়া হল শাখা ছাত্রদলের সভাপতি তারেক হাসান মামুন, বিজয় একাত্তর হল শাখার সহ-সভাপতি তানভীর আজাদী, ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি শাহীনুর শাহীন, সাহাব উদ্দিন আহম্মেদ, বাংলা কলেজ ছাত্রদলের কর্মী আব্দুল কাইয়ুম, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের কর্মী শিহাব উদ্দিন শিহাব, মাসুদ এবং কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের নাহিদসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হন।