কেবল বাংলাদেশের বাংলা ছবি নিয়ে শনিবার কলকাতায় শুরু হল ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’। চলবে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের উৎসবে হাসিনা এ ডটারস টেল, হাওয়া, পরাণ, গুণীন, চিরঞ্জীব মুজিব, কালবেলা, বিউটি সার্কাস, শাটল ট্রেন, লাল মোরগের ঝুঁটি, গলুই ও নবাব এলএলবিসহ বাংলাদেশের ৩৭ ছবি দেখানো হবে। শনিবার উৎসব শুরুর পর থেকেই দর্শকরা যেনো হুমড়ি খেয়ে পড়ে বাংলাদেশের ছবি দেখার জন্য।
সাধারণত কলকাতার ছবি দর্শক খরায় থাকে। দর্শক পায়না খুব একটা। সেখানে বাংলাদেশ চলচিত্র উৎসবে নজড়ে পরল উল্টো চিত্র। কলকাতার নন্দনে উপচে পড়লো দর্শকদের ভিড়।
সূচি অনুসারে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই দুপুর দেড়টা , বিকেল ৪টা এবং সন্ধ্যা ৬টায় পর পর ছিলো ৫টি সিনেমার শো। পূর্বসূচি অনুযায়ী বিকেল ৪টার সময় উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ। কিন্তু তার আগেই দর্শকদের ভিড় আছড়ে পড়তে শুরু করে কলকাতার নন্দন চত্বরে।
প্রথম দিনে দুপুর ১১টায় বাজতেই নন্দনে তুমুল সাড়া জাগানো ছবি ‘হাওয়া’ সিনেমা দেখতে দর্শকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। দুপুর দেড়টার সময় নন্দন ১ এও প্রদর্শিত হয় হাওয়া ছবি। যেখানে আসন সংখ্যা কম থাকায় নিচে কার্পেটে বসে সিনেমা দেখেন দর্শকরা।
নন্দন ২তেও ‘হাসিনা অ্যা ডটারর্স টেল’ দেখতে দর্শকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। সন্ধ্যা ৬টায় ‘বউটি সার্কাস’ , ‘গোর’, ‘আরং’ সিনেমা প্রতি শোতেই দর্শক ভরপুর ছিলো।
নন্দনের কর্মকর্তারাও বলছেন সাম্প্রতিক কালে একটা নির্দিষ্ট ছবি দেখার জন্য এরকম চাহিদা দেখা যায়নি।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হইকমিশনের ব্যবস্থাপনায় কলকাতার রবীন্দ্র সদনে পাঁচ দিন ব্যাপী এই চলচ্চিত্র উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, এমপি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য প্রযুক্তি এবং পর্যটন দপ্তরের মাননীয় ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত কক্সবাজার-৩ এর সংসদ সদস্য জনাব সাইমুম সারোয়ার কমল ও প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কলকাতার উপ হাই কমিশনার জনাব আন্দালিব ইলিয়াস।
এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী জয়া আহসান, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, সংগীত শিল্পী সাব্বির আহমেদ, প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস প্রমুখ।