গুচ্ছগ্রামে পাঁচ সন্তানের জননীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

নেত্রকোনার মদনের গুচ্ছগ্রামে পাঁচ সন্তানের জননী (৪৫)কে ধর্ষণের অভিযোগে মোশারফ হোসেন (৩০) নামের যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মদন থানার পুলিশ। শনিবার (২৬ জুন) রাতে অভিযান চালিয়ে নিজ বসতঘর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোশারফ হোসেন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ের ফতেপুর গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে ও সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প বিরাশি গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়, বিয়াশি গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা ওই পাঁচ সন্তানের জননী (২২ জুন) মঙ্গলবার পাওনা টাকা আনতে মোশারফ হোসেনের ঘরে যায়। এ সময় খালি ঘরে ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মোশারফ। লোকলজ্জায় বিষয়টি ওই নারী কারো কাছে বলেনি।

কিন্তু মোশারফ নিজেই স্থানীয় লোকজনের কাছে এ ঘটনা বলাবলি করেছে। এ নিয়ে গুচ্ছগ্রামে একাধিক সালিশি বৈঠক হয়। এতে কোনো রকম মিমাংসা হয়নি। ওই নারী বাদী হয়ে মোশারফ হোসেনকে আসামি করে শনিবার রাতে মদন থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোশারফকে গ্রেপ্তার করেন।

ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বলেন, মোশারফ মাদকসেবী ও দীর্ঘদিন ধরে মাদক কেনা-বেচা করে সরকারি গুচ্ছগ্রামের পরিবেশ নষ্ট করেছে। আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের পর লোকজনের কাছে খারাপ কথা বলাবলি করে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিয়েছে। এলাকাবাসী সালিশের মাধ্যমে বিষয় সমাধানের চেষ্টা করেন। আমার স্ত্রী বিচার চেয়ে মামলা করেছে। আমিও এর সঠিক বিচার চাই।

গুচ্ছগ্রামের সভাপতি মর্ত্তুজ আলী জানান, মোশারফ মাদকসেবী হওয়ায় তার ভয়ে কেউ কিছু বলে না। ওই নারীকে ধর্ষণ করেছে আমরা শুনে দরবার করছি। আমরা এর দ্রুত বিচার চাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোশারফ জানান, অনেক দিন ধরে আমার সঙ্গে তার (পাঁচ সন্তানের জননীর) বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, ভিকটিমের দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত মোশারফকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ রবিবার তাকে নেত্রকোনা কোর্ট হাজতে পাঠানো হবে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।