এমরান সালেহ বলেন, সরকারের মন্ত্রী-কর্মকর্তারা বলে যাচ্ছেন তারা পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করেছেন। একটা লোকও না খেয়ে মারা যাবে না। অথচ দেশের অগণিত মানুষ এখন নিষ্ঠুর বাস্তবতার মুখোমুখি। এই দায় কার?
প্রতিদিন জ্যামিতিক হারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জনগণ এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
একদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। অন্যদিকে সরকারের অপরিকল্পিত, অমানবিক ও নিষ্ঠুর লকডাউনে জনগণ এখন বেগতিক অবস্থার মধ্যে পড়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সরকার নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে লাভবান করার জন্য একটি মাত্র উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে বিপাকে ফেলেছে।
এমরান সালেহ বলেন, ‘অপরিকল্পিত লকডাউন এবং সরকারের ব্যর্থতায় প্রতিদিন মানুষ কাজ হারাচ্ছে, মধ্যবিত্তদেরও ব্যবসা-বাণিজ্য, আয় সংকুচিত হচ্ছে। এবারও লকডাউনের আগে আমরা সরকারকে বলেছিলাম, দিনমজুর, নিম্ন আয়ের মানুষের হাতে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা পৌঁছে দিতে। সরকার তা করেনি। যার ফলে মানুষ লকডাউন মানছে না।’
সংবাদ সম্মেলনে অপরিকল্পিত ও সমন্বয়হীন লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহন শ্রমিক, হকার, দোকান কর্মচারী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের কর্মহীন মানুষের কাছে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন, হাইফ্লো ক্যানোলা নজেল, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ বেড স্থাপন এবং সরকারি খরচে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা করার আহ্বান জানানো হয়।