খোঁজ মেলেনি অনেক শ্রমিকের, বেশির ভাগই শিশু

১২ বছরের শিশু শান্তা মনি। অভাবের সংসারে সচ্ছলতা আনতে বুধবার নাম লিখিয়েছিল শ্রমিকের খাতায়। এর এক দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নিখোঁজের তালিকায় শান্তার নাম উঠেছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ শ্রমিকদের একজন শান্তা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে আগুন লাগার পর থেকে শান্তার মা শিমু দিগ্‌বিদিক ছুটছেন। আদরের মেয়ের খোঁজ চান তিনি। রাত দেড়টায় কারখানার ফটকে কথা হয় শিমুর সঙ্গে। তিনি জানান, সকাল আটটায় কাজে আসার পর দুপুরে ছেলেকে দিয়ে শান্তার জন্য খাবার পাঠিয়েছিলেন। তারপর আর শান্তার কোনো খোঁজ পাননি।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত চারটা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে থাকা অন্তত ১৮ জন নিখোঁজ শ্রমিকের স্বজনের সঙ্গে প্রথম আলোর কথা হয়েছে। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এসব শ্রমিকের বেশির ভাগের বয়সই ১৮ বছরের নিচে। ঘটনাস্থলে আসা স্বজনদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী নিখোঁজ শ্রমিকেরা হলেন, শান্তা (১২), মুন্না (১৪), শাহানা (১৫), নাজমুল (১৫), রিপন (১৭), রাহিমা (৩৫), অমৃতা (১৯), তাকিয়া (১৪), হিমু (১৬), সুফিয়া (৩০), আমেনা (১৭), মাহমুদ (১৫), তাসলিমা (১৭), কম্পা (১৬), শেফালি (২০), ইসমাইল (১৮)। নিখোঁজ দুজন নাইম ও মোহাম্মদ আলীর বয়স সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে কারখানার সামনে ভিড় করা শ্রমিক ও নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনেরা উদ্ধার কাজে ধীরগতির অভিযোগ এনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। এ সময় তাঁরা কারখানার সামনে থাকা একটি বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথেও ভাঙচুর চালান।

image_pdfimage_print