কাটতেই হলো কণ্ঠশিল্পী আকবরের পা

শেষ পর্যন্ত একটি পা কেটেই ফেলতে হলো শিল্পী আকবর আলীর। বেশ কয়েকদিন চিকিৎসার পর রোববার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার ডান পায়ের নিচের অংশ কেটে ফেলেন চিকিৎসকরা। এখন কিছুটা ভালো বোধ করলেও আর কখনো আকবর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন না বলে জানান চিকিৎসক ও স্বজনরা। আকবরের জন্য সবার কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছে পরিবার।

প্রায় আট বছর ধরে ডায়াবেটিস, কিডনি ও লিভারের নানা জটিলতায় ভুগছেন আকবর। গত মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। মাঝে কিছুদিন বাসায় ছিলেন গায়ক। এ সময় আবারো অসুস্থ হয়ে পড়লে রামপুরার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসার পর জীবন বাঁচাতে ডান পায়ের একটি অংশ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতালের চিকিৎসক বলেন, এখন আকবরকে সাপোর্টিভ কেয়ার দেয়া হচ্ছে। যাতে আরোগ্য আসে এভাবে তাকে ওষুধগুলো দেয়া হচ্ছে। এখন তাকে কিছুটা ভালো বলা চলে।

যে গান দিয়ে আকবর হয়ে ওঠা, সেই গানের মঞ্চে আর কখনো ফিরবেন না আকবর। মানুষটিকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে দেখা ছাড়া যেন কিছুই করার নেই পরিবারের। এক বুক কান্না নিয়ে আকবরের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা বলেন, পাটা কেটে ফেলতে আমরা চাইনি। কারণ সে ছাড়া আর কেউ আমাদের নেই। মেয়েটাকে নিয়ে আমার কী হবে সেই চিন্তায় আছি।

আকবরের চিকিৎসার জন্য বিশ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। উন্নত চিকিৎসার জন্য সেই টাকা উত্তোলনের আবেদন জানান স্ত্রী। বলেন, সঞ্চয়পত্রটা ভাঙানো যাচ্ছে না। এটা ভাঙিয়ে আমাকে যদি কিছু টাকা দিতো, আমি অন্তত একটু চেষ্টা করে দেখতে পারতাম। ব্যাংকে টাকা থাকলেও আমি ওকে ভালো চিকিৎসা দিতে পারছি না। তবে সব শঙ্কা মুছে ফেলে আবারো ফিকে হওয়া স্বপ্নে রং লাগবে এমন প্রর্থনা পরিবার ও স্বজনদের।