মধ্যমানের পারফরমেন্স স্বতেও আইসিসি ওয়ানডে বোলিং র্যাংকিং তালিকায় শীর্ষ দশে প্রবেশ করেছেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান।
বুধবার (১৭ আগস্ট) ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ১৭ রানে ৪ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। তাতেই ১৬তম স্থান থেকে ১০ম স্থানে জায়গা করে নেন তিনি। ইংল্যান্ডের পেসার ক্রিস ওকসের সাথে ১০মস্থানটি ভাগাভাগি করতে হচ্ছে ফিজকে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে অভিষেক হয়েছিলো পেসার এবাদত হোসেনের। ঐ ম্যাচে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সিকান্দার রাজা ও ওয়েসলি মাধভেরের উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ১০৫ রানের বিশাল জয়ে অবদান ছিলো এবাদতের। তবে জিম্বাবুয়ের লোয়ার-অর্ডারকে ধসিয়ে নিজের উইকেট সংখ্যা বাড়িয়েছিলেন ফিজ।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি মুস্তাফিজ। ৫৭ রানে ১ উইকেট নেন তিনি। ঐ ম্যাচ জিতে ৯ বছর পর বাংলাদেশকে হারায় জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলেননি ফিজ। ইনজুরি ও ফর্মের কারণে তৃতীয় ম্যাচে শরিফুল বাদ পড়লে, শেষ ম্যাচে দলে ফিরেন মুস্তাফিজ।
এর আগে মুস্তাফিজের খারাপ পারফরমেন্স জিম্বাবুয়ের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারের প্রধান কারণ ছিল।
২০১৮ সালে র্যাংকিংয়ের পঞ্চমস্থানে জায়গা করে নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। তাই ২০১৮ সালের পর এটিই তার সেরা বোলিং র্যাংকিং।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে ৩৪ রানে ২ উইকেট নেয়ায় র্যাংকিংয়ে উন্নতি হয়েছে বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের। ১৮ ধাপ এগিয়ে ৫৩তমস্থানে উঠেছেন তিনি।
র্যাংকিংয়ে অবনতি হলেও, বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে মেহেদি হাসান মিরাজ। অষ্টমস্থানে আছেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হতাশাজনক পারফরমেন্সের কারণে ব্যাটার র্যাংকিংয়ে কোন উন্নতি হয়নি বাংলাদেশের ব্যাটারদের। বাংলাদেশের পক্ষে র্যাংকিংয়ের সেরা অবস্থানে আছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ১৬তম স্থানে আছেন তিনি।