উৎসবের জন্য সাগরপাড়ে অপেক্ষা

নীল আকাশের নিচে ভূমধ্যসাগরের প্রাচুর্যময় নীল জলরাশি। দক্ষিণ ফ্রান্সে কানের এমন নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়। চারদিকে অজস্র পাম গাছ, এটাই এই শহরের চেনা নিদর্শন। কান চলচ্চিত্র উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বর্ণ পামের আকার পাম গাছের পাতার মতো।

কান উৎসবের সুবাদে এই ফরাসি উপকূলীয় শহরের পরিচিতি দুনিয়াজোড়া। সাগরপাড়ের কাছে পালে দে ফেস্টিভাল ভবন হলো উৎসবটির প্রাণকেন্দ্র। এখানকার লালগালিচা সবার হৃদয়কে শিহরিত করে।

ফরাসি ছাড়াও বিভিন্ন দেশের ভ্রমণপ্রেমীরা পালে দে ফেস্টিভালের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। কেউ কেউ বন্ধু-প্রিয়জনকে নিয়ে আড্ডা দিয়ে সময় কাটান।ভবনের চত্বরে অ্যাঞ্জেলিনা জোলিসহ বিখ্যাত তারকাদের হাতের ছাপ চোখে পড়ে। পাশে একটি কর্নারে করোনা প্রতিরোধক টিকা দেওয়া হচ্ছে। এরপরেই কান ট্যুরিস্ট অফিস। এতে থাকে পর্যটকদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও ভ্রমণ উপযোগী পণ্য।পাশেই সাল দুবুসি প্রেক্ষাগৃহের ফটক ও সিঁড়ি। এখানেই আগামী ৭ জুলাই দেখানো হবে বাংলাদেশের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। উৎসবের অফিসিয়াল সিলেকশনে জায়গা পাওয়া এটাই বাংলাদেশের প্রথম কোনো ছবি।

কানের ৭৪তম আসরের অফিসিয়াল পোস্টার আজ টানানো হবে ভবনের বহির্ভাগে। ইতিমধ্যে পালে দে ফেস্টিভালে ভেতরের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। উৎসবকে সামনে রেখে ভবনটির আশেপাশের জায়গায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। লালগালিচা অনুষ্ঠানের যাবতীয় সরঞ্জাম চলে এসেছে। সাগরপাড়ে ছবি দেখানোর উন্মুক্ত আয়োজনের মঞ্চ বসেছে।

পালে দে ফেস্টিভালের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে আগামী ৬ জুলাই কান উৎসবের পর্দা উঠবে। এরপরেই ছড়িয়ে পড়বে কোলাহল। রাতের নির্জনতা মিলিয়ে যাবে উৎসবের প্রত্যাবর্তনে। শহরজুড়ে চলচ্চিত্রপ্রেমীরা এখন সেই অপেক্ষায়…