ইউক্রেনে রুশ সেনাদের যুদ্ধাপরাধের বিচার চলছে। সম্প্রতি কিয়েভের একটি আদালতে যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় ৬২ বছর বয়সী এক ইউক্রেনীয় নাগরিককে হত্যা। কথা স্বীকার করেন ভাদিম শিশিমারিন নামে এক রুশ সেনা।বেসামরিক নাগরিক হত্যার দায়ে সোমবার (২৩ মে) ওই সেনাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কিয়েভের একটি আদালত।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর রুশ সেনাদের যুদ্ধাপরাধের মামলায় এটাই প্রথম রায়। গত ১৩ মে কিয়েভের একটি আদালতে ভাদিম শিশিমারিনের শুনানি শুরু হয়।
রাশিয়ার এই সেনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, অভিযানের প্রথম দিকে তিনি ইউক্রেনের একটি গ্রামে এক প্রবীণ ব্যক্তিকে হত্যা করেন। অভিযোগ ওঠার আগে থেকেই ওই রুশ সেনা ইউক্রেনের কারাগারে আটক রয়েছেন। তবে তাকে ঠিক কবে আটক করা হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। আদালতকে সরকারি আইনজীবীরা বলেন, শিশিমারিন রুশ ট্যাংক ইউনিটের প্রধান ছিলেন।
খবরে বলা হয়, বুধবার (১৮ মে) ভাদিম শিশিমারিনকে হাতকড়া পরা অবস্থায় কিয়েভের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর প্রায় পুরোটা সময় তিনি আদালতে মাথা নত করে ছিলেন।
এরপর বিচারক অভিযুক্ত সেনাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনি কি অপরাধ স্বীকার করছেন?’ উত্তরে শিশিমারিন বলেন, ‘হ্যাঁ, পুরো দায় স্বীকার করছি।’ আইনজীবীদের ভাষ্যমতে, ভাদিম নিজেই ওই ইউক্রেনীয় নাগরিকের মাথায় গুলি করে তাকে হত্যা করেন।
শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন নিহতের বিধবা স্ত্রী। দোষ স্বীকার করার পর ওই রুশ সেনাকে স্বামী হত্যার বিষয়ে সামনাসামনি প্রশ্ন করেন তিনি। জিজ্ঞাসা করেন, ‘আমার স্বামীকে হত্যার সময় আপনার অনুভূতি কেমন ছিল।’ জবাবে ২১ বছর বয়সী ওই তরুণ সেনা বলেন, ‘আমি আসলে তাকে গুলি করতে চাইনি। আরেক সেনার হুমকির কারণে গুলি করতে বাধ্য হয়েছি।’
এদিকে ইউক্রেনের হাতে আটক রুশ সেনাদের ভাগ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মস্কো।