আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের এক মাস পর কাতার বিশ্বকাপের খুঁটিনাটি সব তথ্য প্রকাশ করেছে ফিফা। মেসির শিরোপা জেতা সেই ফাইনাল দেখেছিলেন রেকর্ড ১৫০ কোটি মানুষ। আর কাতার বিশ্বকাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রায় ৫০০ কোটি মানুষ। পুরো বিশ্বকাপে মাঠে বসে খেলা দেখা দর্শকদের সংখ্যা রেকর্ড ৩৪ লাখ। অনলাইনেও অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে এবারের আসর।
৩৬ বছরের অপেক্ষার সমাপ্তি। বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের আক্ষেপ ঘুচেছে আর্জেন্টিনার। সোনালি ট্রফি উঁচিয়ে লিওনেল মেসির উদযাপন। সবমিলিয়ে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের স্বপ্নের এক আসর কেটেছে কাতার বিশ্বকাপে। মাস পেরুলেও রয়ে গেছে সেই উন্মাদনার রেশ।
অঘটন আর রেকর্ডময় এক বিশ্বকাপ। প্রায় সব ক্ষেত্রেই সফল আয়োজক দেশ কাতার। মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে, গ্যালারি কিংবা ভার্চুয়াল জগৎ সব ক্ষেত্রেই সব আসরকে ছাপিয়ে গিয়েছে বিশ্বকাপের ২২তম এই আসর।
যেই ফাইনাল মেসিকে দিয়েছে বিশ্বকাপ শিরোপা, লুসাইলের সেই মহারণ নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ কেমন ছিল? মাঠে বসে সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছেন কতজন? বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার একমাস পূর্তিতে সেই তথ্য প্রকাশ করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল দেখেছেন সারাবিশ্বের ১৫০ কোটি মানুষ। যা আগের যেকোনো বিশ্বকাপ ফাইনালের চেয়ে বেশি। এর আগে ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখেছিলেন ১১২ কোটি মানুষ। কাতার বিশ্বকাপ দেখেছেন কিংবা কোনোভাবে বিশ্বকাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন মানুষের সংখ্যা ৫০০ কোটিরও বেশি। রাশিয়া বিশ্বকাপে এই সংখ্যা ছিল সাড়ে ৩০০ কোটি। সূত্র: ফিফা
গ্যালারির দর্শকের সংখ্যাটাও ছাপিয়ে গিয়েছে সব আসরকে। পুরো বিশ্বকাপে মাঠে বসে খেলা দেখা দর্শকদের সংখ্যাও গত বিশ্বকাপের থেকে ৪ লাখ বেশি। এবার ৩৪ লাখ ভক্ত দেখেছে এই মহারণ।
আর লুসাইলের সেই ফাইনাল শুধু মাঠে বসে দেখেছেন ৮৮ হাজার ৯৬৬ জন। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমের সংখ্যাটাও কিন্তু কম নয়। অন্তত ৯৩.৬ মিলিয়ন বা ৯ কোটি ৩৬ লাখ পোস্ট করা হয়েছে কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে। ক্রমান্বয়ে যেগুলোর রিচ ছিল প্রায় ২৬২ বিলিয়ান বা ২৬ হাজার ২০০ কোটি। সূত্র: তথ্য ও বিশ্লেষণবিষয়ক মার্কিন প্রতিষ্ঠান নিয়েলসন
কাতার বিশ্বকাপেই এসেছে বিশ্বকাপ ফুটবলের ৯২ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোল। কাতারে হয়েছে ১৭২টি গোল। এর আগে সর্বোচ্চ গোল হয়েছিল ১৯৯৮ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে। দুই বিশ্বকাপেই গোল হয়েছে ১৭১টি করে।