আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোটে থাকা নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইতালি ও জার্মানি। বুধবার ইতালি এবং মঙ্গলবার রাতে জার্মানির পক্ষ থেকে এই ঘোষণা আসে। এর মধ্য দিয়ে ন্যাটোর সঙ্গে ২০ বছর ধরে নিজেদের আফগান–যাত্রার ইতি টানল ইউরোপের দেশ দুটি।
ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লরেঞ্জো গুয়েরিনি এক বিবৃতিতে বলেন, মঙ্গলবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানে তাঁদের ‘মিশনের’ সমাপ্তি ঘটেছে। এদিন আফগানিস্তানে থাকা ইতালির সর্বশেষ সেনারা পিসা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। অন্যদিকে এক বিবৃতিতে জার্মান প্রতীরক্ষামন্ত্রী আনেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাউয়ার বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁদের বুনডেসভেরের সর্বশেষ সেনারা আফগানিস্তান ত্যাগ করেছেন।
আনেগ্রেট একে একটি ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সমাপ্তি হিসেবে বর্ণনা করেন। আর লরেঞ্জো গুয়েরিনি বলেন, এই সেনা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে না। আফগান প্রজাতন্ত্রের উন্নয়নে ইতালি ভিন্ন উপায়ে সম্পৃক্ত থাকবে।
দেশ দুটির দেওয়া তথ্যমতে, গত ২০ বছরে আফগানিস্তানে জার্মানির মোট দেড় লাখ এবং ইতালির ৫০ হাজার সেনা দায়িত্ব পালন করেছেন। এই যাত্রায় ইতালির ৫৩ সেনা নিহত ও ৭২৩ সেনা আহত এবং জার্মানির ৫৯ সেনা নিহত হয়েছেন।
গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। আফগানিস্তানে ন্যাটোর প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা মিশন—রেজ্যুলুট সাপোর্টে জোটের ৯ হাজার ৬০০ সেনা অবশিষ্ট ছিল।
আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েনের সংখ্যার বিবেচনায় যে পাঁচটি দেশ শীর্ষে ছিল, তাদের মধ্যে জার্মানি ও ইতালিও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরেই সবচেয়ে বেশি ছিল জার্মানির সেনা। এদের বাইরে যুক্তরাজ্য ও তুরস্কেরও বেশ সেনা মোতায়েন হয়। বর্তমানে সেখানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের কিছু সেনা অবশিষ্ট আছে। আফগানিস্তানে সেনা পাঠানোর দিক দিয়ে পেছন সারির দেশ ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া ও স্পেন আগেই তাদের সব সেনা প্রত্যাহার করেছে।