আফগানদের ত্রাণ দিলেও তালেবান সরকারকে অর্থ দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে আফগানিস্তানে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রাখতে চাইছে মার্কিন কংগ্রেস। তবে দেশটির তালেবান সরকারকে সরাসরি অর্থায়নের কোনো সুযোগ রাখা হচ্ছে না। মার্কিন সিনেটে এমন সিদ্ধান্তই হয়েছে। এদিকে আফগানিস্তানে মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রাখার চেষ্টার অংশ হিসেবে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বৈঠক করছে জাতিসংঘ।

২০০১ সালে অভিযান চালিয়ে তালেবান সরকার উত্খাতের পর থেকেই আফগানিস্তানের ব্যাপক অর্থায়নকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির নিরাপত্তা, শাসন প্রক্রিয়া, উন্নয়ন এবং মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রায় ১৩ হাজার কোটি ডলার দিয়েছে ওয়াশিংটন।

আফগানদের ত্রাণ দিলেও তালেবান  সরকারকে অর্থ দেবে না যুক্তরাষ্ট্রআফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে গতকাল নারী অধিকারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন এক দল নারী। এ সময় তালেবান যোদ্ধারা সেই বিক্ষোভে প্রবেশ করে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে —এএফপি

মার্কিন সিনেটের সদস্যরা বলছেন, আইনপ্রণেতারা প্রায় নিশ্চিত যে আন্তর্জাতিকভাবে বাস্তুচ্যুত আফগান নাগরিক এবং শরণার্থীদের সহায়তা দেওয়া হবে, কিন্তু আফগান সরকারকে নয়। অন্তত পক্ষে, এখন তো নয়ই। সিনেটে ডেমোক্র্যাট দলীয় এক সদস্য বলেন, তালেবান সরকারকে সহায়তা করা হয় এমন কিছু করতে কংগ্রেস সদস্যদের সন্তুষ্ট করা কঠিন হবে। সিনেটের রিপাবলিকান এক সদস্যও একই ধরনের মত দেন।

এদিকে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে চরম মানবিক সংকটে পড়েছে দেশটি। মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছে জাতিসংঘ।

আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আফগানদের ত্রাণ সহায়তার জন্য বিশ্ব প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করতে জেনেভা সম্মেলনে যাচ্ছেন।

জাতিসংঘ সম্প্রতি শঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, আফগানিস্তানে মানবিক বিপর্যয়ে পড়েছেন ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ এবং আরো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন ১ কোটি ৮০ লাখ। তালেবানের ভয়ে দেশ ছেড়েছেন অন্তত ৫ লাখ আফগান।