আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস

‘মানবকেন্দ্রিক পুনরুদ্ধারের জন্য সাক্ষরতা : ডিজিটাল বিভাজন কমিয়ে আনা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাবিশ্বে উদযাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস।

আজ বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে দেশের বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে যথাযথ শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এক যোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সাক্ষরতা ও জীবনমুখী দক্ষতা বৃদ্ধিতে বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

প্রতিবারের ন্যায় এবারও সারাবিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযথভাবে পালন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এই বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দিবস উপলক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দিবসটির উদ্বোধন করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইউনেস্কো মহাপরিচালকের বক্তব্য পেশ করা হবে

এছাড়াও দিবস উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠান, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, গোলটেবিল বৈঠক, বাংলাদেশ টেলিভিশনে টক-শো অনুষ্ঠান করা হবে। পাশাপাশি দেশের প্রত্যেক জেলা প্রশাসক স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা সভা করবেন। এ কারণে উপানুষ্ঠনিক প্রাথমিক ব্যুরো বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এছাড়া দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও দিবসটি পালন করবে।

এর আগে সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুযায়ী ২০১৯ সালের হিসাবে দেশে গড় সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ আর ২০২০ সালের তথ্যানুযায়ী দেশে এখন সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

ফলে করোনার মধ্যেও গত এক বছরে কোনো কার্যক্রম না থাকলেও সাক্ষরতার হার বেড়েছে দশমিক ৯০ শতাংশ।করোনা মহামারির কারণে ১৭ মাস বন্ধ শিক্ষাব্যবস্থা। শ্রেণি কার্যক্রম ছিল না। এ কারণে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে। অনেক শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার আশঙ্কাও করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে সরকারি তথ্য বলছে, করোনায় সাক্ষরতার হার বেড়েছে। গত এক বছরে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাঠ পর্যায়ে কোনো কার্যক্রম না থাকলেও বেড়েছে সাক্ষরতার হার। তবে এ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।