কথা হচ্ছিল তামিম ইকবালকে নিয়েই। তিনি আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে চান না বলে যে খবর গত পরশু রাতে পরিবেশন করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান, সে প্রসঙ্গেই খালেদ মাহমুদের কথায় চলে এলেন সাকিব আল হাসানও। এই বিসিবি পরিচালক ও জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টরের ভাবনায় পরের এক বছর এমন গুরুত্বপূর্ণ যে দুজনকেই আলোচনায় টেনে আনলেন, ‘অবশ্যই (তামিমের সঙ্গে কথা বলবেন কি না), এটি তো আমার দায়িত্বই। আমি তো চাইবই যে বাংলাদেশের সেরা দলটি তিন সংস্করণেই খেলুক।
বিজ্ঞাপন
সাকিব খেলছে না বা তামিম খেলছে না, এটি তো আমাদের জন্য ভালো নয়। আমি জানি, নিজেদের খেলার শেষের দিকেই চলে এসেছে ওরা সবাই। হয়তো আর দুই-তিন বছর খেলবে। আমি আগামী একটি বছরে খুব মনোযোগ দিতে চাই, যেহেতু বাংলাদেশের অনেক খেলা আছে এই সময়ে। ’
তা নিয়ে এরই মধ্যে সাকিবের সঙ্গে তাঁর কথা হয়ে গেছে বলেও জানালেন বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সাকিবের দল ফরচুন বরিশালের হেড কোচ মাহমুদ। তবে তামিম যেহেতু খেলছেন মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার হয়ে, তাই এই ওপেনারের সঙ্গে কথা বলার জন্য অপেক্ষা করছেন আজ তাদের বিপক্ষে আজকের ম্যাচ শেষ হওয়া পর্যন্ত, ‘সাকিবের সঙ্গে এরই মধ্যে কথা বলেছি আমি। যেন এই বছর আমরা পুরো ক্রিকেট খেলি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অনেক পয়েন্ট আছে, আছে ওয়ানডের পয়েন্টও। বাংলাদেশ ক্রিকেট ওদের হাত ধরেই একটি জায়গায় এসেছে। এর চেয়ে ভালো আমরা কেন হব না? তামিমদের সঙ্গে কালকে খেলা আছে। খেলা শেষে পারলে একবার কথা বলব যে, আসলে ওর সমস্যাটি কোথায়। ’
বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমেও ছড়িয়ে পড়া কিছু সমস্যার কথা শোনা যাচ্ছে। তেমন কিছুর অস্তিত্ব যে আছে, মাহমুদের কথায় আছে সে ইঙ্গিতও। সেসব সমস্যার সমাধানেও উদ্যোগী হতে চান মাহমুদ, ‘মনোমালিন্যের ব্যাপার যেটি আছে, আমার কাজ হলো দলের মধ্যে ছোটখাটো সমস্যাগুলোর সমাধান। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হবেই, ইগোর ব্যাপার থাকে, অনেক সময় হয়ে যায়। অনেক সময় ব্যাখ্যায় ছোটখাটো ভুল হয়। সেসব ঠিক করার চেষ্টা করব। শুনেছি অনেক কথাই। তবে আমি বুঝতে পারছি, কোথাও না কোথাও একটি দূরত্ব আছেই। সেই দূরত্ব দূর করাই আমার দায়িত্ব। যেটি বললাম, এই বছরটি আমরা আমাদের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে খেলতে চাই।