ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসরের মেগা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি। নিলামের আগে ও পরে সাকিবের পারফরম্যান্সে চোখ বোলালে অবাক হবেন যে কেউই।
আইপিএল নিলামের আগে সাকিব দল পাবেন বলে দৃঢ় বিশ্বাস ছিল বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীদের। কিন্তু মেগা নিলামের প্রথম দিন নাম উঠলেও তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কেউ। ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যের ক্যাটাগরিতে থাকা এ ক্রিকেটার দ্বিতীয় দিন শেষেও অবিক্রীত থেকে যান। অথচ নিলামের ঠিক আগে সাকিব ছিলেন হট ফর্মে। বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে নিলামের ঠিক আগের ৪ ম্যাচে তিনি করেন ১৮৯ রান, বল হাতে নেন ৮ উইকেট।
আইপিএল নিলামের ঠিক আগে সাকিব চারটি ম্যাচ খেলেছেন মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা, সিলেট সানরাইজার্স, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে। এর মধ্যে ঢাকার বিপক্ষে ৫১, সিলেটের বিপক্ষে ৩৮, কুমিল্লার বিপক্ষে ৫০ ও চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৫০ রান করেন তিনি।
এবার চোখ বোলানো যাক আইপিএল নিলামের পরে সাকিবের পারফরম্যান্সের দিকে। নিলামের পরে তিনি এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৭ ম্যাচ। ব্যাট হাতে মাত্র ৮২ রান করেন তিনি, বল হাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বাদে শিকার করেন ৮ উইকেট।
নিলামের পরে সাতটি ম্যাচের মধ্যে সাকিব দুটি ম্যাচই খেলেছেন কুমিল্লার বিপক্ষে। এক ম্যাচে ১ ও অন্য ম্যাচে ৭ রান করেন তিনি। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে যথাক্রমে ১০, ২০ ও ৩০ রান করেন। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ রান করে আউট হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। অর্থাৎ আইপিএল নিলামের আগে ও পরে সাকিবের পারফরম্যান্সে আকাল-পাতাল তফাৎ। টাইগার ক্রিকেটপ্রেমীরা মনে করেন খুব দ্রুতই এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটবে তার।
এদিকে, আইপিএলে সাকিবের দল পাওয়ার অনেক কারণ দাঁড় করাচ্ছেন ক্রিকেট অনুরাগীরা। কেউ কেউ বলছেন, সবশেষ আসরে ভালো পারফরম্যান্স করতে না পারায় তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো দল। আবার কেউ বলছেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ বিবেচনায় নিয়ে সাকিবকে কোনো ফ্রাঞ্জাইজিই কেনেনি।