অস্ত্রোপচারে পুরুষকে ‘নারী’ বানান তারা

খুলনার ফুলতলার ছাতিয়ানি এলাকার মো. হাদিউজ্জামান। দীর্ঘদিন ধরে দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়াকে নিয়ে ঢাকার মালিবাগের মাহি হাসান টাওয়ারে ‘লেজার বিউটি পার্লার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বসেন। হাদিউজ্জামান নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিতেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানে পুরুষদের লিঙ্গ রূপান্তর, ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট ও উচ্চমাত্রার হরমোন ইনজেকশন প্রয়োগ করে নারী-পুরুষের কণ্ঠসহ অন্যান্য অবয়ব বদলে দেওয়ার মতো কর্মকাণ্ড চলত। কোনো চিকিৎসাবিদ্যা না জানা সত্ত্বেও বছরের পর বছর লিঙ্গ বদলের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে আসছিলেন এই ভুয়া চিকিৎসক। মূলত তৃতীয় লিঙ্গের লোকজনকে টার্গেট করে ভয়ংকর এই কারবার চালিয়ে আসেন ওই দম্পতি।

গত বুধবার রাতে রাজধানীর মালিবাগে অভিযান চালিয়ে ভুয়া চিকিৎসক হাদিউজ্জামান, তাঁর স্ত্রী সোনিয়া খাতুনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তার অপর দু’জন হলেন- তাঁদের সহযোগী নুর ইসলাম ও জনি আহমেদ।

পুলিশ জানায়, হাদিউজ্জামানের একটি বড় চক্র আছে। নানা প্রলোভন ও ফাঁদ পেতে অনেককে তাঁর কাছে নিয়ে আসা হয়। লিঙ্গ পরিবর্তনে যাঁরা আগ্রহী, তাঁদের প্রথমে হরমোন ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপর অস্ত্রোপচার করেন হাদিউজ্জামান ও তাঁর স্ত্রী। আর পরিবর্তিত অবস্থায় তৃতীয় লিঙ্গের এসব ব্যক্তি চাঁদাবাজি ও ভিক্ষাবৃত্তি করে বেড়ান। আবার মাদক বহন, মাদক পাচার, মাদক-বাণিজ্যে জড়াতেও অনেকে স্বেচ্ছায় তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তরিত হন।