ব্যাপারটা এসি মিলানের খেলোয়াড়, ভক্ত-সমর্থকেরা অতটা ভালো চোখে দেখেননি। ইন্টারে গিয়েও শিরোপা জেতার আশার কথাই বলেছিলেন, বলেছিলেন, নেরাজ্জুরিদের হয়ে কিছু জিততে চান। ভাবসাব এমন, এসি মিলানের হয়ে কোনো শিরোপা জেতারই সুযোগ নেই তাঁর!
এখনো মিলানের লাল-কালো অংশে কান পাতলে চালহানোলুর নামের আগে-পরে ‘বিশ্বাসঘাতক’ শব্দটা শোনা যায়। এসি মিলান থেকে ইন্টার মিলানে গিয়েছেন, এমন অনেক খেলোয়াড় থাকলেও চালহানোলুর মতো ঘৃণার পাত্র খুব কম খেলোয়াড়ই হয়েছেন।
কারণ, এসি মিলানের চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ইন্টারে গিয়েই গোল ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসি মিলানকে নিয়ে অনেক কিছুই বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, তাঁর নতুন দল সাবেক দলকে ডার্বিতে নিয়মিতই হারায়!
ভাগ্যের কী খেল, ইন্টারে যোগ দিয়েও লিগ শিরোপা জেতা হলো না তুরস্কের এই মিডফিল্ডারের। ইন্টারকে লিগে দ্বিতীয় বানিয়ে শিরোপা জিতে নিল এসি মিলান! সেই এসি মিলান, লিগ জেতার আশায় যাদের ভালোবাসাকে তুচ্ছ করে শত্রুশিবিরে যোগ দিয়েছিলেন চালহানোলু!
ক্লাব বদলের পর চালহানোলুর কথাবার্তা যে এসি মিলানের তারকাদের মধ্যে প্রতিশোধের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল, সেটা বোঝা গেছে এসি মিলানের লিগ জয়ের উৎসবে। দলটার সুইডিশ স্ট্রাইকার জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ চালহানোলুর কাটা ঘায়ে আরও বেশি করে নুন রগড়ে দিয়েছেন। লিগ বিজয়ের শোভাযাত্রায় মিলান সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে ইব্রা বলেছেন, ‘হাকানের উদ্দেশ্যে একটা বার্তা পাঠান!’ জবাবে শোভাযাত্রা দেখতে আসা মিলান সমর্থকেরা চিৎকার করে বলেন, ‘পায়খানা!’
তবে শিরোপা জেতার আশা যে একেবারেই পূরণ হয়নি চালহানোলুর, সেটাও নয়। কিছুদিন আগেই কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে জুভেন্টাসকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে চালহানোলুর ইন্টার।