সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে রোববার বাংলাদেশ সময় দুপুর দুটোয় অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড- এমসিজে’তে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। তবে ফাইনালের শহরটিতে আবহাওয়ার চরিত্র বিচিত্র হওয়াতে জেগেছে শঙ্কা।
সবশেষ আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মেলবোর্নের আকাশে কালো মেঘ সরে যেতে শুরু করেছে। রোববার বৃষ্টির সম্ভাবনা যেখানে শতভাগ ছিলো, সেখান থেকে কমে ত্রিশ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। বিকালের পর পরিস্থিতি আরো ভালো হবে।
তাই একটি জমাট ফাইনালের আশায় আবারো বুক বাঁধতে শুরু করেছেন মেলবোর্নের মানুষরা। সেই সঙ্গে টিভি পর্দার লাখো কোটি ক্রিকেটপ্রেমীরা। সবার প্রত্যাশা একটি জমজমাট ফাইনাল হোক বাবর আজম আর জোস বাটলারদের মধ্যে। আসরের সেরা দুই দলের লড়াই বলে কথা।
মেলবোর্নের ফাইনাল ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে করিয়ে দিচ্ছে ৩০ বছর আগের ঘটনা। ১৯৯২ সালে ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিলো এই দুই দেশ। শুধু তাই নয়, এই দুই বিশ্ব মহারণের মধ্যে ক্রিকেটপ্রেমীরা খুঁজে পেয়েছেন সাত সাতটি মিল।
তবে ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ এবং ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মধ্যে অমিলও অনেক। এবার পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের বয়স সেবারের অধিনায়ক ইমরান খানের মতো ৩৯ বছর নয়। সেখানে বাবর এখন ২৮ বছরের একজন ঝকঝকে ওপেনার।
সে যাই কোক, ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলো পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ড। মেলবোর্নে ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও মুখোমুখি হতে চলেছে এই দুই দেশই। ১৯৯২ সালে আয়োজক ছিলো অস্ট্রেলিয়া। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজকও অস্ট্রেলিয়া।
সেবার মেলবোর্নের মাঠে হয়েছিল ফাইনাল ম্যাচ। এবারও তাই হতে চলেছে। ১৯৯২ সালের সে বিশ্বকাপের সেমিতে নিউজ়িল্যান্ডকে হারিয়ে ছিলো পাকিস্তান। ঘুরে ফিরে এবারের বিশ্বকাপেও হলো তাই। পাকিস্তান ব্ল্যাক ক্যাপদের ৭ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপেও ঢিমেতালে শুরু করে ইমরান বাহিনী। প্রথম দিকে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল টিম ইমরানকে। এবারও মাত্র ছয় পয়েন্ট নিয়ে সেমিতে আসে বাবররা। প্রথমে ভারত এবং জ়িম্বাবোয়ের কাছে হেরে পর পর ম্যাচে জিতে ফাইনালে খেলতে যাচ্ছে পাক দল।
১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়ার কথাও স্মরণে আসতে অনেকের। বিশ্বকাপ আসরে অস্ট্রেলিয়া পয়েন্ট তালিকায় এগিয়ে থেকেও সেমিফাইনালে যেতে পারেনি। অন্যদিকে, কম পয়েন্ট পেয়েও ঠিকই সেমিতে খেলার সুযোগ পায় পাকিস্তান। এবারও হলো তাই।
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ এবং ২০২২ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আরও মিল আছে। ১৯৯২ সালে ‘ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন’ ছিল অস্ট্রেলিয়া। আর আয়োজকও ছিল তারা। এবারও হলো তাই। ১৯৮৭ সালে ভারতে আয়োজিত বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ছিলো অস্ট্রেলিয়া।
২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক অস্ট্রেলিয়াও সেমিফাইনালে যেতে পারেনি। এ বারও ‘ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন’ হয়েই থেকে গেলো তারা। আর ইংল্যান্ড ১৯৯২ সালে মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছিলও। এবারও সেমিফাইনালের আগে পর্যন্ত তাই হয়েছে।