স্বস্তি নেই চাল-চিনি-ডিমে

এক সপ্তাহ আগের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় রাজধানীতে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। একইসঙ্গে বেড়েছে চাল, চিনি ও ডিমের দামও। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর কাওরান বাজার, হাতিরপুল কাঁচাবাজার, পলাশী বাজার, মোহম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১০০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। এ সপ্তাহে ১০ টাকা বেড়ে ১১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাজারভেদে দামের ভিন্নতা রয়েছে। তবে খুচরা বাজার ১১৫ থেকে ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এ সপ্তাহে একই দাম রয়েছে।এদিকে কেজিতে ২-৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। মসলার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

পলাশী বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মো. পান্না মিয়া জানান, বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা ও পাকিস্তানি (সোনালি) মুরগি ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে একই দামে মুরগি বিক্রি হয়েছে।

কাওরান বাজারের মিলু স্টোরের স্বত্বাধিকারী বিপ্লব কুমার পাল জানান, তেলের দাম নতুন করে আর বাড়েনি। দাম যা বাড়ার গত ১৫ দিন আগে বেড়েছে। ব্র্যান্ডভেদে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৭ টাকা বেড়েছে। পাইকারিতে পাঁচ লিটার বোতল ৬৯০ থেকে শুরু করে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খোলা বাজারে আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

হাতিরপুল বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. পারভেজ উদ্দিন বলে, বন্যার কারণে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। বাজারে করলা ৫০ টাকা, সিম ৭০ টাকা, মরিচ ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, আলু ২০ টাকা, পেঁপে ১৫ টাকা, কচুর ছড়া ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকপি প্রতি পিস আকার-ভেদে ৩০-৪০ টাকা, পাতা কপি আকার ৩৫-৪০ টাকা বিক্রি করছি। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে এই ব্যবসায়ী বলেন, বন্যায় সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে সবজির দাম বেড়েছে।

মোহম্মদপুর কৃষি মার্কেটের আরিফ রাইস এজেন্সির মালিক ফরিদুল ইসলাম বলেন, বাজারের চালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। আটাশ চাল ৫০ টাকা কেজি, চিনি গুড়া ৮৮ টাকা. বাসমতি ৭২ টাকা ও জিরা শাইল চাল ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করছি।

এদিকে, বাজারে মাছের দাম কিছুটা কমেছে। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ১১০০ টাকা, ৮ শ থেকে সাড়ে ৯ শ গ্রাম সাইজের ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা। রুই আকার ভেদে ২০০ থেকে ৩২০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ টাকা, কাতল আকার ভেদে ১৮০ থেকে সাড়ে তিনশ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

দাম কমার কারণ হিসেবে মহাখালী কাঁচাবাজারের মাছ ব্যবসায়ী ইয়াসিন মিয়া বলেন, বাজারে ইলিশ মাছ আসায় ও খাল-বিলে পানি কমে যাওয়ায় মাছের দাম কিছুটা কমেছে।