শেষ পর্যন্ত সাক্ষাৎ হলে তাকে সৌদি আরবের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মনোভাবে একটি পরিবর্তন হিসেবে দেখা হবে। কারণ, জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে সৌদি আরবের ব্যাপারে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছিলেন।
বর্তমান ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, জো বাইডেন আগামী মাসে বিদেশ সফরে যাবেন। এই সফরকালে মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে তাঁর একটি সম্ভাব্য মুখোমুখি সাক্ষাতের ব্যবস্থা করতে মার্কিন প্রশাসনে কর্মকর্তারা সৌদির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
সৌদি আরব বর্তমানে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) সভাপতি। দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের কার্যত শাসক। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে জিসিসির বৈঠকের মধ্যে মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে জো বাইডেনের সাক্ষাৎ হতে পারে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, এ রকম (সাক্ষাৎ) কিছু একটা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে সৌদির কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করেননি।
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের নেতাদের মধ্যে বৈঠককে একসময় ‘রুটিন’ হিসেবে গণ্য করা হতো। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের সাম্প্রতিক টানাপোড়েনের কারণে এই ধরনের বৈঠক কমে যায়। তাই মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে জো বাইডেনের সম্ভাব্য সাক্ষাতের বিষয়টি বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে।
মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে জো বাইডেন নিজ দেশে সমালোচনার মুখে পড়তে পারেন। কেননা, একসময় তিনি মানবাধিকার, ইয়েমেন যুদ্ধ ও সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যায় সৌদি সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।