ধর্ষণের শিকার নারীর চরিত্র নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করার বিধান আইন থেকে বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে দ্য রেইপ ল রিফর্ম কোয়ালিশন (আরএলআরসি)।
আরএলআরসি’র পক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) জানিয়েছে, সাক্ষ্য আইন ১৮৭২-এর ১৫৫ (৪) ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যখন ‘বলাৎকার বা শ্লীলতাহানির চেষ্টার’ অভিযোগে ফৌজদারিতে সোপর্দ হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে অভিযোগকারী সাধারণভাবে ‘দুশ্চরিত্রা’। গতবছরের অক্টোবরে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আরএলআরসি’র অন্যতম দাবি ছিল এই ধারা বাদ দেওয়া। দাবিটি মেনে নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে আরএলআরসি।
এর আগে, ১৫৫(৪) ধারা বাদ দেওয়াসহ বিদ্যমান সাক্ষ্য আইন সংশোধন করে জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে আইনটি তোলা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার সংসদে বাজেট পাসের প্রক্রিয়ার সময় বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন ছাঁটাই প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী এ তথ্য জানান।