নিজস্ব প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনকে ঘিরে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কাজিরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সামনের সড়কে আজ শনিবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা এ সময় পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কয়েকজন।
নির্বাচনে উটপাখী প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন জিতুর লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মামুনুর রশিদ। জানা গেছে, বেলা ১১ টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ২০ জন আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। ভোটকেন্দ্র এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। দুপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।
খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রিয়াজুল কবিরসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাহান সাথী। পশ্চিম কাজিরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার দিলীপ কুমার নাথ জানান, কেন্দ্রের বাইরের সড়কে হামলা হয়েছে। আতঙ্কে ভোটাররা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে কিছুক্ষণের জন্য ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখন সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন জানান, এক কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা গণ্ডগোল করতে এসেছিল। তাদের ভোটকেন্দ্র এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশের এলাকাগুলোতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। যারা ভোটকেন্দ্রে গোলযোগ করতে এসেছিল, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জানা গেছে, রামগঞ্জে ১৭ টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৯টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিম কাজীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রও রয়েছে।