মিয়ানমারে পাইপলাইন স্টেশনে আক্রমণ, উদ্বিগ্ন চীন

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থান করেছে। এই দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটিতে উদ্ভূত বিশৃঙ্খলা নিয়ে চীনের চেয়ে কোনও দেশই বেশি চিন্তিত বলে মনে হচ্ছে না। মিয়ানমারে বড় অবকাঠামো এবং অন্যান্য প্রকল্পে বিনিয়োগের পাশাপাশি প্রতিদিন সীমান্ত বাণিজ্যের জন্য প্রায় ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে বেইজিং। তাদের উদ্বেগ হওয়ার কারণ রয়েছে। প্রচুর বিনিয়োগের মধ্যে মিয়ানমারের পশ্চিম অঞ্চল থেকে চীন পর্যন্ত ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের যুগল পাইপলাইনের কৌশলগত গুরুত্ব আছে। তেলের পাইপলাইন বার্ষিক ২২ মিলিয়ন টন ক্রুড অয়েল বহন করে। আর প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনটি ১২ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস বহন করে।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) এসব জানিয়েছে মিয়ানমারের গণমাধ্যম ইরাওয়াদ্দি। বলা হয়, ফেব্রুয়ারিতে যখন চীনা কর্মকর্তারা মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের সাথে একটি জরুরি সভা করেছিলেন তখন এই প্রকল্পটির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছিল। সভায় তারা পাইপলাইনগুলোর সুরক্ষা ব্যবস্থা কঠোর করার জন্য সামরিক সরকারকে অনুরোধ করেছিল। তারা বলেছিল, প্রকল্পটি মিয়ানমারে বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

অন্যদিকে বুধবার একদল নিরাপত্তা কর্মীর উপর মারাত্মক আক্রমণ করা হয়। এরা মান্দালয় পাইপলাইনের অফ-টেক স্টেশনের প্রহরী ছিল। এ ঘটনার ফলে চীনের উদ্বেগ আরো তীব্র হবে। সামরিক মালিকানাধীন মায়াওয়াদ্দি টিভি তাৎক্ষণিকভাবে একই দিনে এই ঘটনার খবর দিয়েছে। বলা হয়, সিঙ্গাইং টাউনশিপে “তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস স্টেশন” এ তারা তিনজন রক্ষী ছিল- অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীরা তাদের গুলি করে হত্যা করে। আশেপাশের সবাই জানেন যে “স্টেশন” চীনা-মালিকানাধীন পাইপলাইন স্টেশনকে বোঝায়। পুলিশ সদস্যদের উপর তরোয়াল এবং ম্যাশেটি দিয়ে আক্রমণ নিঃসন্দেহে মিয়ানমারের শাসনের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় সশস্ত্র প্রতিরোধের একটি অংশ ছিল।