চলতি সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর। নতুন দলের নাম এখনও চূড়ান্ত না হলেও প্রাথমিকভাবে দুটি নাম ঠিক করা হয়েছে। ‘গণ অধিকার পরিষদ’ অথবা ‘বাংলাদেশ অধিকার পার্টি’ নামে আত্মপ্রকাশ ঘটতে পারে নুরের দলের।
এ বিষয়ে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নুরুল হক নুর ইত্তেফাককে বলেন, ‘সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৮ বা ২৯ সেপ্টেম্বর আমরা নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে আসছি। দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে হবেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে চেয়ারম্যান বা সভাপতি যেই হোন না কেন, মূল ফোকাসে আমিই থাকবো।’
এক প্রশ্নের জবাবে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে অনেক কিছুই ঘটবে। আমরা কয়েকটা ফরমেটে কাজ করছি। নতুনদের পাশাপাশি দলে প্রবীণদেরও রাখা হবে। এছাড়া চারটি সংগঠন নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে যে মোর্চা গঠন করেছি সেটিও থাকবে। তাদের সঙ্গেও আমাদের কথা হচ্ছে।’
ছাত্র-যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদ, রাষ্ট্রচিন্তা, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও গণসংহতি আন্দোলন; এই চারটি সগঠন সম্প্রতি অভিন্ন কর্মসূচিতে একসাথে পথ চলতে শুরু করে। এরমধ্যে নুর ছাত্র-যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক। আর ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং জোনায়েদ সাকি গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক। নতুন দলের উদ্যোক্তাদের ইচ্ছা ছিল জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে দলের প্রধান করার। তবে জাফরুল্লাহ চৌধুরী তাতে সায় দেনন
নতুন দলের লক্ষ্য সম্পর্কে নুরুল হক নুর জানান, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তার দল একক কিংবা মোর্চাগত অংশ নেবে। সব শ্রেণি-পেশার তরুনদের সম্পৃক্ত করে একটি তারুণ্যনির্ভর দল গঠনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ত করার চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নিষ্ক্রিয় নেতাদের সঙ্গেও কথাবার্তা হচ্ছে।
জানা গেছে, চারটি সংগঠন মোর্চাগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। আবার চারটির মধ্যে গণসংহতি আন্দোলন ছাড়া বাকি তিনটি নতুন দলে একীভূত হয়েও নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।
২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় আসেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর। ওই আন্দোলনের সময় বেশ কয়েকবার হামলার শিকার হন তিনি। এরপর ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হন। গত তিন বছরে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে অন্তত ১৩ বার আক্রান্ত হন নুর। তার নামে ১৭টি মামলা রয়েছে।